শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল প্রায় ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি

রাজশাহীতে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল প্রায় ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আবারও দ্বিতীয় বারের মতো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিযোগীতা মূলক বালু মহালের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঠিকাদারগণ সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে তাদের কাঙ্খিত বালু মহালের টেন্ডার দাখিল করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী দরদাতাগণেন সম্মুখে টেন্ডার বাক্স খোলা হয় এবং সর্বোচ্চ (দরপত্র) দাতার নাম ঘোষনা করা হয়। এতে দেখা যায় শ্যামপুর বালু মহাল ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত বাংলা ১৪২৫ সনে ছিলো ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।

হাড়ুপুর ও নবগঙ্গা ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত বাংলা ১৪২৫ সনে ছিলো ৫ লক্ষ টাকা। কসবা, মদনপুর, চর-হরিপুর ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ছিলো ৫ লক্ষ টাকা। গোদাগাড়ীর ৫টি মৌজা ৫৫ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ছিলো ৭ লক্ষ টাকা। গোদাগাড়ীর ১৩টি মৌজা ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ৬ মাসের জন্য লিজ ছিলো ৮২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ইউসুফপুর ৫৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৬ শত টাকা। চারঘাট ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। বাঘা ৩০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

এর আগে ১১ অক্টোবর ২০১৮ প্রথম বারের মতো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিযোগীতা মূলক বালু মহালের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। এবং ওই টেন্ডারে প্রতিযোগীতা মূলক ঠিকাদারগন টেন্ডার দাখিল করেন। সেখানে দেখা যায় মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল কোটি টাকায় বিক্রি হয়।

একাধীক বালু ব্যবসায়ীগণের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে সকল সরকারের আমলে রাজশাহী নগরীর প্রভাবশালী একটি মহল এই বালু মহাল তাদের সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি করে রেখেছিলো। যারা আজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।

আর এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্বাস আলী এগিয়ে আসেন।

এবং তারা ১১ অক্টোবর ২০১৮ প্রথম বারের মতো অংশ গ্রহন করেন এবং স্বার্থক হন। এবার দ্বিতীয়বারের মতোও তারা স্বার্থক হন। এতে দেখা যায় মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল কোটি টাকায় বিক্রি হয়।

জানতে চাইলে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্বাস আলী বলেন, একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নিকট রাজশাহীর বালুমহাল জিম্মি থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলো সাধারণ বালু ব্যবসায়ীগণ।

আর এই সিন্ডিকেটের কারনে অনেক বালু ব্যবসায়ীরা বালু ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দেয়। আবার অনেকে বালু ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে অটো রিক্সা চালাতে দেখা যায়। অন্যদিকে সরকার হারায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তিনি আরো বলেন, বালু মহাল সিন্ডিকেটের নিকট স্বল্প পূজির বালু ব্যবসায়ী ও সকল শ্রেণীর বালু ক্রেতাগনসহ সরকারের রাজস্ব বাড়ানোয় ছিলো আমার মূল উদ্দ্যেশ্য। 

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৭ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply