নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী অঞ্চলে বেড়েছে পাট চাষ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭১ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদফতর। এবছর পাট চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৩ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। আর গত বছর পাট চাষ হয়েছে ছিল ১২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, গত বছরের চেয়ে রাজশাহী অঞ্চলে বেড়েছে পাটের চাষ। এই অঞ্চলে পাট কাটা শুরু হয়েছে। কোন রোগ বালায় নেই।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে রাজশাহীতে পাট চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে। ২০১৭ সালে ১৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। ২০১৮ সালে পাট চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে। সেই বছর ২০১৭ সালেল তুলনায় ৮৭৫ হেক্টর কম জমিতে পাট চাষ হয়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার শ্রীপুর এলাকার পাটচাষি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এবার আড়ায় বিঘা জামিতে পাট চাষ করেছেন। পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। যেহেতু এবছর তেমন বৃষ্টিপাত নেই। তাই পুকুর ও ডোবায় তেমন পানি নেই। এক বিঘা পাট কাটা ও পানিতে জাগ দেওয়ার খরচ হচ্ছে প্রায় তিন হাজার টাকা। এছাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা শ্রমিকও।
একই এলাকার পাটচাষি মোজাম্মেল হক জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম নিয়ে শঙ্কিত। পাট বাজারে উঠার পরে দাম কমে যায়। তারা শ্রমিককের টাকা দেওয়ার জন্য পাট বিক্রি করে দাম পায়না। এতে তাদের লোকসান হয়।
তিনি বলেন, পাটের দাম কম পাওয়া, বিক্রির সমস্যা এবং ভালো বীজের অভাব পাট চাষে সমস্যা থেকেই যায়। এছাড়া পাট কাটার জন্য রাজশাহী জেলার বাইরে অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা থেকে শ্রমিক আনতে হয়। এতে করে আরও খরচ বেড়ে যায়।
মতিহার বার্তা ডট কম ১৭ জুলাই ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.