শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহী দুর্গাপুরে পাইলট স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস : আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী দুর্গাপুরে পাইলট স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস : আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

দূর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুর সদরের অবস্থিত একমাত্র সরকারি স্কুল দুর্গাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি ক্লাস রুমগুলো দীর্ঘ বছর ধরে ভগ্নদশা। এর পরেও ক্লাস রুমের সংকটে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ভবনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর রহমান।

বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী এখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৩শত শিক্ষার্থীর পাঠদান ওই ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে। নতুন কোন ভবন না হলে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।

সরেজমিনে বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৭০ বছরে পুরনো স্কুল ভবনটি নতুন ভবন ছাড়া অন্য সবগুলো ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ভবন গুলোর ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। লোহা ও কাঠের দরজা-জানালাগুলো সংযুক্তহীন হয়ে পড়েছে। দেয়ালের প্লেস্তারগুলো ধসে পড়ছে । ছাদের প্লেস্তার ধসে মরিচাযুক্ত রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি বড় বড় অংশ ধসে পড়ছে মেঝেতে।

এতে ছাত্রছাত্রী আহতের ভয়ে ওই ভবনে ক্লাস করা বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় ভবনের বারান্দার পাকা খুঁটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। প্লেস্তার ও ইট ক্ষয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ফাটল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। বার বার মেরামত করেও আর লাভ হয় না। বর্তমানে স্কুলটি মেরামতেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেকোন মুহূর্তে ভূমিকম্পে বা মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় ধসে পড়তে পারে ভবনটি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু আরিফ রুবেল বলেন, সরকারি বিদ্যালয়টির প্রধান সমস্যা ক্লাস রুমের। যে ভবনটি আছে তাও ঝুঁকিপর্ণ। যে কোন সময় দূঘটনা ঘটতে পারে। এসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার মান উন্নয়নে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চরম আতষ্কের মধ্যে বাধ্য হয়ে পাঠদান করিয়ে আসছেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। শিক্ষার্থীর তুলনায় বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমের সংকট রয়েছে। এরমধ্যে আবার যে ভবনটিতে ক্লাস করা হয় তার অবস্থা খুবই খারাপ। যে কোন সময় ভেঙ্গেপড়তে পারে। এমনকি বড়ধরনের দুঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, প্রর্যাপ্ত ক্লাস রুম পেলে বিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক শিক্ষিকার অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভাব।

উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন। এ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করতে হবে তা না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ৭০ বছরের পুরনো ভবনের কোন কিছুর ট্রেম্পার (গুনাগুন) ঠিক নেই। ভবনটি অবশ্যই ঝুঁকিপূন রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, পড়াশোনার মানোন্নয়ন ও ফলাফলের দিক থেকে প্রতি বছরই দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর তুলনায় কক্ষ সংকট রয়েছে এটা সত্য। পুরাতন ভঙ্গাচোরা জরাজীর্ণ ভবনটিতে শিক্ষক শিক্ষিকারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির পুরাতন জরাজীর্ন ভবনটি দ্রুত ভেঙ্গে ফেলে একটি নতুন ভবন নির্মান করা হলে বিদ্যালটিতে আরো বেশী শিক্ষা মানোন্নয়ন ঘটবে বলে আমি মনেকরি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন সরকার বলেন,সরজমিনে ভবনটি দেখেছি। তবে ভবনটিতে শিক্ষর্থীরা ঝুঁকিপূর্ন ভাবে ক্লাস করছে। যার কারণে মৌখিক ভাবে আমরা সবাই জানিয়েছি। দ্রুত ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা কারা প্রয়োজন এমনকি এমন ঝুঁকিপূর্ন ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা যাবে না। অন্য জায়গায় পাঠদান করাতে হবে। এমনকি নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৭  জুলাই ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply