শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর সেই ‘আলোর ফেরিওয়ালা’র এখন থাকার জায়গা নেই

রাজশাহীর সেই ‘আলোর ফেরিওয়ালা’র এখন থাকার জায়গা নেই

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ৩৮ বছর ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালাতে গিয়ে সংসার পাতেননি জালাল উদ্দিন। পৈতৃক জমি বিক্রি করে অর্থ ঢেলেছেন শিক্ষার্থীদের পেছনে। দুটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এই জালাল উদ্দিন এখন অসহায়।

তিনি ছিলেন হাসপাতালে। ছাড়া পেয়ে উঠেছিলেন একটি আবাসিক হোটেলে। কাছের টাকা-পয়সা শেষ। গত শুক্রবার তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এসে উঠেছেন। তাঁর যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। পরে সাংবাদিকরা তাকে আবার আবাসিক হোটেলে পাঠান। তিনি বর্তমানে নগরের নিউমার্কেটের পাশে ওয়েহোম আবাসিক হোটেলে রয়েছেন।

জালাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও কোনো সনদ নেননি। দুটি বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ভালো চাকরি পাওয়ার পরও তা না করে বিনা পয়সায় এই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান। বিয়ে করে সংসারী হলে এ কার্যক্রমের ক্ষতি হতে পারে ভেবে জালাল উদ্দিন বিয়েই করেননি। নিজের জায়গাজমিও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তাঁর নিজের কোনো ঘরবাড়ি নেই। রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া পাড়ায় তাঁর বোনের বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিনা টাকায় শিক্ষা দিয়েছেন। সাথে তাদের গান শিখিয়েছেন দেশত্ববোধক।

চার বছর আগে বাচ্চাদের জন্য পাঠশালায় বই নিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে জালাল উদ্দিনের পা ভেঙে যায়। সেই থেকে নানা অসুস্থতা তাঁর পিছু ছাড়েনি। শিক্ষা কার্যক্রমও আর চালাতে পারেননি। পা ভাঙার সময় প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছিল। এরপর মাস দু-এক আগে আবার তিনি অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এদিকে বোন মারা যাওয়ার পর বোনের বাসায় থাকার আর পরিবেশ নেই। তাঁর ভাগনেরা বাইরে থাকেন। তাঁকে দেখভাল করার কেউ নেই। শুধু সময়মতো পানি না খেতে পেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ জন্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এবার একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। কাছের টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে গত শুক্রবার তিনি হোটেল ছেড়ে দেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাবে এসে উঠেছেন। তিনি বলছেন, রাতে সেখানেই থাকবেন। তবে পরে সাংবাদিকরা তার ভাড়ার ব্যবস্থা করে আবার হোটেলে রেখে আসেন। সানশাইন।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৯  জুলাই  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply