নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়ায় প্রতিবন্ধী সিরাজুল ইসলামের জমিতে জোরপূর্বক পাকাঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দুস্কৃতিকারিদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে থানা পুলিশের নোটিশের তোয়াক্কা না করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করছেন সচেতনমহল।
প্রতিবন্ধী সিরাজুলসহ জমির মালিকরা বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। সেখানে দুস্কৃতিকারিরা বায়না সূত্রে এই জমির মালিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড রাজশাহী নিউমার্কেট শাখার সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে।
এই দুস্কৃতিকারিরাই ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বায়া প্রাথমিক স্কুলের সামনে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অফিসে বোমা ফাঁটিয়ে আতংক সৃষ্টি করেছিল।
জানা গেছে, বায়ার মৃত কাদির মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান বারইপাড়া মৌজায় পৈত্রিকসূত্রে রেকর্ডভূক্ত আরএস খতিয়ান ২৯০, দাগনং ৭৬৫, ৭৬৭-এ ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিক। হাবিবুর রহমান এই জমি প্রতিবন্ধী ছেলে সিরাজুল ইসলামসহ চার জন ও তিন মেয়েকে দান করেন।
কয়েকদিন আগে বায়া বাজারের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে জামায়াতের সক্রিয় কর্মী জসিম উদ্দিন, বারইপাড়া গ্রামের মৃত ফরাতুল্লাহ’র ছেলে নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হামিদ, বিরস্তইল গ্রামের মৃত জব্বারের ছেলে জহুরুল হক ঝুপু, পালপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মিজান, জসিম উদ্দিনের ছেলে শিবিরের সক্রিয় কর্মী সুজাউদ্দৌলাসহ আরো ১০/১২ জন জোরপূর্বক পাকা গুদামঘর নির্মাণ করতে থাকে।
সেখানে তারা বায়না সূত্রে এই জমির মালিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড রাজশাহী নিউমার্কেট শাখার সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক প্রতিবন্ধী সিরাজুল হক বাধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরমধ্যে শিবির কর্মী সুজাউদ্দৌলা ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বায়া প্রাথমিক স্কুলের সামনে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অফিসে বোমা ফাঁটিয়ে আতংক সৃষ্টি করেছিল। ওই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
গত ২ আগস্ট এয়ারপোর্ট থানায় সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে জসিম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, জহুরুল হক ঝুপু ও মিজানকে আসামী করে অভিযোগ দেয়। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির আশংকায় ঘটনা তদন্ত করে এসআই মতিউর রহমান ওই জমিতে উভয়পক্ষকে কোন ধরনের নির্মাণ কাজ না করতে নোটিশ করেন।
এই নোটিশকে অমান্য করে অভিযুক্তরা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এব্যাপারে প্রতিবন্ধী সিরাজুল ইসলাম নিজেদের ভোগ দখলিয় জমি উদ্ধারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন। এরইমধ্যে উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুত্র: আমার রাজশাহী
মতিহার বার্তা ডট কম – ০৩ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.