শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
কলকাতার এই আতর দোকানের ক্রেতা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রীও

কলকাতার এই আতর দোকানের ক্রেতা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রীও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চারদিকে মম করছে সুগন্ধ৷ নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন জাকারিয়া স্ট্রিট৷ কলকাতার আতর সাম্রাজ্য আটকে গিয়েছে এই অঞ্চলে। যেখানে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে খুদা বক্স ও নবি বক্স পারফিউমার্স ৷ ১৮২৪ সালে তৈরি এই দোকানে একসময় আতরের খদ্দের ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি থেকে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান, নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ৷

একসময় নবাবদের মহল থেকে বাঙালি বনেদি বাড়িতে আতরের চল ছিল৷ ঋতু বদলের সঙ্গে আতরের সংগ্রহ বদলাতেন গন্ধবিলাসীরা৷ তবে এ শহরে আতরের ব্যবহার বাড়ে লখনউর নির্বাসিত নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ কলকাতায় আসার পর থেকেই ৷ ১৮৫৬ সালে নবাব ওয়াজেদ আলি কলকাতায় এসেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর আগেই অর্থাৎ ১৮২৪ সালে খুদা বক্স ও তাঁর ছেলে নবি বক্স কনৌজের কারখানা থেকে সুগন্ধি নিয়ে আসেন কলকাতায়৷

রাস্তায় তেমন আলোর ব্যবস্থা না থাকায় ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হত বেচা-কেনা৷ সন্ধ্যের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেত দোকান৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান, প্রয়াত রাজ্যপাল নুরুল হাসান, নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ ও পরে তাংর বংশধরদের আতরের বরাত পেতেন খুদা বক্স৷

খুদা বক্স ও নবি বক্স পারফিউমার্সের নবম বংশধর নেয়াজউদ্দিন আল্লা বক্স ও সফিকুদ্দিন আল্লা বক্স বলেন, “আমরা শুনেছি রবীন্দ্রনাথের গোলাপ আর জুঁইয়ের গন্ধ৷তখন এ শহরেও আতর তৈরি হত৷বেঙ্গল কেমিক্যালসের উল্টো দিকে ফুলে বাগিচা ছিল৷ সেখানকার ফুল দিয়ে অনেক আতর তৈরি হয়েছে৷এখন মুম্বই, কনৌজ থেকেই আতর আসে৷”

তাঁদের কথায়, “দামি আতরের বিক্রি এখন খুবই কম৷এখন মূলত ৫০-১০০ টাকার আতরের চাহিদাই বেশি৷এগুলো সব সিন্থেটিক আতর৷আসল আতরের অনেক দাম৷ খাস আতর তৈরিতে চন্দন তেল লাগে৷ যা এখন দুর্মূল্য৷ ১০ গ্রাম আসল আতরের নূন্যতম দাম হাজার টাকার মতো৷ চার-পাঁচ হাজার টাকারও আতর আছে৷”

১৪১ বছরের আরও এক পুরোনো রবীন্দ্র সরণির তাজ সুর্মা ও আতর স্টোর্সের মালিক জামালুদ্দিনের কথাতেও স্পষ্ট, দাবি আতরের ক্রেতা দিন দিন কমছে৷ ফলে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে খস, উদ, গোলাপ, মালতি, মজমুয়ার মতো দামি আতর৷পারফিউম, বডি স্প্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আতরের সুগন্ধ কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, এখন সে প্রশ্নই ভাবাচ্ছে শতবর্ষ পেরোনো আতর বিক্রেতাদের৷

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৬ আগস্ট  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply