শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
শিশুটির ওপর দিয়ে গেল একের পর এক দ্রুতগামী ট্রেন

শিশুটির ওপর দিয়ে গেল একের পর এক দ্রুতগামী ট্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুটির ওপর দিয়েই চলে গেছে একের পর এক দ্রুতগামী ট্রেন। তবুও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলে ছোট্ট শিশুটি। বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির রেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।

ইতোমধ্যেই হাসপাতাল কর্মীদের চোখের মণি হয়ে উঠেছে শিশুটি। তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরা। কে বলবে দু’দিন আগে এই শিশুটির ওপর দিয়েই চলে গেছে একের পর এক ট্রেন?

বৃহস্পতিবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে নিয়ম মাফিক লাইন যাচাই করছিলেন দু’জন ট্র্যাকম্যান। সেই সময়েই তাদের নজরে আসে একটি ছোট্ট কাপড়ের পুঁটলি। কাপড়টা সরাতেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ।

রেল লাইনের মাঝে কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল কয়েক মাস বয়সী এক কন্যা শিশুকে। ওই শিশুর সারা গায়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। তাদের উদ্যোগেই প্রথমে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ছোট্ট শিশুটিকে। পরে তাকে রেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে লাইনের মাঝে ফেলে রেখে গেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

তবে এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে চটহাট স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ। রেলকর্মীদের ধারণা, ওই নারীই হয়তো শিশুটির মা। তাকে খুন করার পর লাইনে বেশ কিছুটা এগিয়ে এসে শিশুটিকে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রেন থেকে বাচ্চাটিকে ফেলে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে পুলিশ। তাছাড়া ট্রেন থেকে কোনো শিশুর পড়ে যাওয়ার কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিশুটির মাথা, পিঠ ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রেল হাসপাতালে বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠেছে শিশুটি। রেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। সুস্থ হওয়ার পর শিশুটিকে হোমে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৪ আগস্ট  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply