শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
ভুক্তভোগীদের হানা: পিছন দরজা দিয়ে পালালো বাগমারা ভূমি কর্মকর্তা

ভুক্তভোগীদের হানা: পিছন দরজা দিয়ে পালালো বাগমারা ভূমি কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ঘুষের টাকা ফেরত নিতে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাসকে অবরুদ্ধ করেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন উপসহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা প্রনব কুমার।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসে যোগদানের পর থেকে তিনি অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেন। এলাকার সাধারন মানুষ ভুমি কর দিতে গেলে তিনি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ছাড়েন।

কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি তার দালাল বাহিনী দিয়ে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষদের শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন। ওই সব ঘটনায় এলাকার ১৬৫ জন ব্যক্তি বাদী হয়ে উপসহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এমন অভিযোগের পর তিনি আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠেছেন। ঝিকরা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমান নামের এক কৃষক জানান, প্রনব কুমার বিশ্বাস জমির কর বাবদ তার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা গ্রহন করে ৯২৭ টাকার চেক কেটে দেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে তার দালাল বাহিনী দিয়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন। এছাড়াও বড়বিহানালী এলাকার রেজাউল ইসলাম নামের এক কৃষকের কাছ থেকে ৪ হাজার পাঁচশ টাকা নিয়ে ৪২ টাকার চেক কেটে দেন। একই ঘটনা ঘটান বিদ্যুৎ নামের এক কৃষকের কাছে।

তার কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ১০ টাকার চেক কেটে দেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তার অফিসে যান এবং ঘুষের টাকা ফেরতের জন্য তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এলাকার লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ ককরা হলে উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে তিনি ক্ষেপে যান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী ছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ তার কিছুই করতে পারেনি বলে সাংবাদিকদের হুমকি দেন। তিনি আরো বলেন, তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খোঁজ খবর নিতে বলেন।

এমন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম অভিযোগের পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিক জানান।

মতিহার বার্তা ডট কম  ০১ মেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply