শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
পর্নো জগতের করুণ গল্প শোনালেন মিয়া খলিফা

পর্নো জগতের করুণ গল্প শোনালেন মিয়া খলিফা

মতিহার বার্তা ডেস্ক : মানুষ এক জীবনে অনেক ভুল করে। সে সব ভুল শুধরেও নেয় অনেকে। কিন্তু কিছু ভুল থাকে যার ক্ষমা হয় না। মানুষ সেই ভুলের অনুশোচনা বুকে বয়ে চলে নীরবে নিভৃতে। তেমনি অনুশোচনায় জ্বলছেন প্রাক্তন পর্নো তারকা মিয়া খলিফা।

নীল ছবি থেকে অনেক আগেই নিজেকে বের করে এনেছেন। আপাত দৃষ্টিতে সাদামাটা জীবন তার। উপস্থাপনাসহ নানা রকম পেশায় জীবন চালানোর চেষ্টা করছেন। তবে নিজের জীবনের ভয়াবহ তিন মাসের অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেন না তিনি।

তিনি যতোই সুন্দর জীবনের চেষ্টা করুন না কেন গোটা দুনিয়ায় তার পরিচিতি নীল ছবির তারকা হিসেবেই। এখনো লোকে তাকে সে চোখেই দেখে। তিনি বুঝতে পারেন এ পরিচয়টা কাটাতে তার সময় লাগবে। কিংবা হয়তো কোনো দিনই মুছবে না।

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার অনেক করুণ গল্প শোনান মিয়া খলিফা। তিনি বলেন, অল্প বয়সে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় যান তিনি। অথচ মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। সম্মান ও সময়ের বিনিময়ে সেভাবে টাকাও রোজগার করতে পারেননি মিয়া।

২০১৫ সালে তিন মাস কাজ করার পরই এই পর্নো ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অথচ হারানো সম্মান ফিরে পাননি তিনি। পর্নো জগতের নীল আলো থেকে বেরিয়ে আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি মিয়া।

তার ব্যক্তিগত জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে। ‘আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি আমি’- এভাবেই বললেন আবেগপ্রবণ মিয়া।

তিনি বলেন, নীল ছবির জগৎ থেকে বের হওয়াটা সহজ নয় কখনোই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর একের পর এক পাকচক্রে জড়িয়ে পড়েন অল্প বয়সী মেয়েরা। পর্নো ইন্ডাস্ট্রির ব্ল্যাকহোল টেনে নেয় অল্প বয়সী মেয়েদের। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে বাধ্য হয়, সে বিষয়েও জানিয়েছেন মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বহু মেয়ে অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমায় এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সেকথা জানিয়েছে। সেগুলো ভয়াবহ।’

মিয়ার কথায়, পর্নো ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ বুঝতে পেরেই কোনো মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। মিয়া জানান, তার পর্নো ছবি করার কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন ত্যাগ করেছেন। পর্নো ছেড়ে দেওয়ার পরেও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি তাদের সঙ্গে। তবে সময়ের সঙ্গে ক্ষত কমে যাবে সেই বিশ্বাস বুকে ধরে আছেন তিনি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply