শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে স্বামীকে ধোঁকা দিয়ে বিসিক শিল্প ইন্ডাস্ট্রিজে চলছে রমরমা ব্যবসা

রাজশাহীতে স্বামীকে ধোঁকা দিয়ে বিসিক শিল্প ইন্ডাস্ট্রিজে চলছে রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত পর্ব-১ খবরের ধারাবাহিকতায় আজকের পর্ব-২ লিখতে গিয়ে শিল্প নগরী বিসিকে “খাজা আহমেদ শিল্প উইভিং” স্বজমিনে দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে সেখানে মুল ব্যবসা বস্ত্র ও বস্ত্রজাত ব্যবসার আড়ালে চলছে বহু রকমের ব্যবসা যে গুলো সরকারী কোন অনুমতি নেই।

এ বিষয়ে মোঃ রেজাউল আহসান খোকার স্ত্রী হাসনা বেগম (৫৫), মেয়ে মোসাঃ রায়হানা বেগম (২২) ও ছেলে রফিকুল হাসান লালচাঁন (২৮) এর নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, সব ব্যবসার লাইসেন্স লাগেনা।

বিসিক এলাকায় যারা মিল কারখানার অনুমতি নেয় তারা আমাদের মতো হরেক রকম ব্যবসা করছে। এটা কেমন করে হতে পারে বলে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জোগ সাজসে চলছে।

এটা কেহ বন্ধ করতে পারবেনা। ছেলে লালচাঁন পিতার প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন তিনি এখন আর কোন ব্যবসা বোঝেনা। আমরা ব্যবসা বুঝি কোন ব্যবসায় কী পরিমানে লাভ।

তাই সরকারী অনুমতি বিহীন দ্রব্য ও পন্য সামগ্রীসহ বহু রকম ব্যবসা এখানে আমরা করছি। আপনারা যা পারেন লিখে যান আমাদের ব্যবসা কোনটাই বন্ধ হবে না।

পিতার সঙ্গে ব্যবসার লভ্যাংশের যে মাসিক “টাকার চুক্তি” সমঝোতা করেছেন এ বিষয়ে কি হবে এমন প্রশ্নে বলেন, সে আদালতে যাক জবাব আদালতে দিবো।

পিতা রেজাউল আহসান খোকার সাথে কথা বললে, তিনি জানান পৈত্রিক সুত্রে এই প্রতিষ্ঠানের সবকিছুই আমার অথচ আমাকে আড়াল করে আমার পরিবারের সদস্যরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও বিসিকের অনুমতি বিহীন তারা যেসব ভেজাল ব্যবসা এখানে করছে তাহা আমি পছন্দ করিনা।

আমার বাবার এবং আমার সুনাম নষ্ট করা ও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য এগুলো করছে। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে শিল্প নগরী (বিসিক) ভবনে এস্ট্রেট অফিসারসহ ডিজিএম’র সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের নিকট অভিযোগ আছে যে, সেখানে অবৈধভাবে বিসিক অনুমতি বিহীন ভুট্টার দানা মিহি করে খাদ্য তৈরি, সেমাই তৈরি, খোলা লবন প্যাকেটের মাধ্যমে বাজারজাত করণ, ধানের তুষের গো-খাদ্য, মাছের খাদ্য ও পণ্য তৈরীসহ অনেক কিছুই হচ্ছে যাহা আমরা অবগত হয়েছি।

ইতিপূর্বে ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তদন্তও হয়েছে। প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিবেদন আসলেই আমরা এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

ব্যবসায়ী মালিকারা বিসিকের ভিতর স্থায়ীভাবে ঘর-বাড়ী নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারবে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন করে জানতে চাইলে তারা বলেন, না এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করার এমন কোন বিধান নেই।

তবে এ বিষয়গুলো আমরা ভালো ভাবে খতিয়ে দেখা শুরু করেছি। উইভিং এর মুল কাজ একটু রাখলেও বাকীসব চলছে উল্লেখিত ভেজাল খাদ্য ও পণ্যের কাজ।

যাহা বলা যায় অধিক মোনাফার লোভে অবৈধ ব্যবসা। এখানে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে অগ্রনী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডর্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা লোন হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে রেজাউল আহসান খোকার পরিবার সূত্রে জানা যায়। আর এই টাকা ইনভেস্ট করে চলছে তাদের অবৈধ মালামালের রমরমা ব্যবসা। পর্ব-২

রাজশাহীর সময় ডট কম ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply