শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
সাভার হাইওয়ে থানায় দিনে আটক অটো রিক্সা রাতে বিক্রি!

সাভার হাইওয়ে থানায় দিনে আটক অটো রিক্সা রাতে বিক্রি!

মতিহার বার্তা ডেস্ক: মহাসড়কে দূর্ঘটনার মূল কারণ ধীর গতির যানবাহন। তাই এই বিষয়ে সর্বচ্চো সতর্ক সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোন যন্ত্র চালিত আটো রিক্সা, ইজিবাইক বা ভ্যান উঠলেই, তা আটক করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্টা করা এমন থানায়,  রাতে ঘটেছে বিচিত্র একটি ঘটনা। রাতের আধারে অটককৃত রিক্সা বিক্রি করার সময়, রিক্সা ও পুলিশের হোন্ডাসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে হাইওয়ে থানার এক সোর্স।

হাইওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস যাবত কোন যন্ত্র চালিত কোন অটো রিক্সা ও ভ্যান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উঠলেই, তা আটক করছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে, প্রতিদিন আটক করা হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫টি অটো রিক্সা।

  এমন অপরাধ করলে কোন রিক্সা চালককেই ছাড় দেন না, থানার নতুন (ওসি) মোঃ গোলাম মোর্শেদ তালুকদার। এক্ষেত্রে তিনি এতোটাই  কঠোর যে, শত চেষ্টা বা তদবীর করলেও তিনি একটি রিক্সাও থানা থেকে ছাড়েন না। সারা দিন রোদের মধ্যে থানা গেটে বসে থেকে রাতে খালি হাতে বাসায় ফিরে যান ভুক্তভোগী রিক্সা চালকরা।

 ভুক্তভোগী অটো রিক্সা চালক হাসান জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি রিক্সা চালান। গত ছয় মাস আগে আশুলিয়ার হাসেম প্লাজার সমনে থেকে তার একটি অটো রিক্সাটি আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। সে সময় তিনি ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অটো রিক্সাটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
গত শুক্রবার আবার একই জায়গা থেকে তার আটো রিক্সাটি আটক করা হয়। পূর্বের গাড়ী ছাড়ানোর অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে হাসান গত দুই দিন হাইওয়ে থানায় চেষ্টা করেও, তার অটো রিক্সাটি ছাড়াতে পারছিলেন না। শনিবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দেখেন, হাইওয়ে থানা থেকে একটি অটো রিক্সা ও একটি ভ্যান নিয়ে যাচ্ছেন, থানার কয়েক জন লোক।
এসময় তাদের সাথে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি হোন্ডাও ছিলো। তার সন্দেহ হলে তিনি, তাদের পেছন-পেছন জাহাঙ্গিরনগর প্রান্তিক গেটের সামনে গিয়ে, তাদের পথ আটকে দাড়ান। এসময় একজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, বাকি তিন জনকে আটকাতে সক্ষম হয় উপস্থিত জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাটি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানালে, আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেন ঘটনা স্থলে পৌছে একটি আটো রিক্সা, একটি ভ্যান ও একটি হোন্ডা উদ্ধার করেন।

এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেন জানান, শরিফুল ইসলাম, শাহেব আলী ও মোকলেছসহ উদ্ধার করা যানবাহন সাভার হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলামের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, শরিফুল ইসলামের কাছে পুলিশের ষ্টীকার লাগানো একটি সাদা রংয়ের ইয়ামাহা এফজেড হোন্ডা (ঢাকা মেট্রো-ল, ২৫-৭৫৮৩) পাওয়া যায়। আর শাহেব :আলী ও মোকলেছ উপস্থিত জনতার কাছে জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, তারা থানার (সোর্স) শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে অটো রিক্সা ও ভ্যানটি কিনেছেন।

হাইওয়ে থানায় খোঁজ করলে জানা যায়, উদ্ধার করা ইয়ামাহা এফজেড হোন্ডাটির মালিক হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলাম। ধৃত শরিফুল ইসলাম (সোর্স) গভীর রাতে তার নিবন্ধনকৃত হোন্ডটি ব্যবহার করার কারন জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলাম বলেন, শরিফুল তার মামাতো ভাই।

অনুন্ধান করে আরও জানা যায়, উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলাম সাভার হাইওয়ে থানায় বদলি হয়ে আসার পর থেকে, তার মামাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে তার কাজে সহযোগীতা করে আসছেন। অন্যদিকে, এই শরিফুলের মাধ্যমেই প্রায় প্রতি রাতে সাভার হাইওয়ে থানা থেকে অটো রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইক বিক্রয় করা হয়।

অভিযানে আটক করা যানবাহন রাতের আধারে থানা থেকে বিক্রি করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোর্শেদ তালুকদার বলেন, ভাই সংবাদটি প্রকাশ করিয়েন না। আপনি একবার থানায় আসেন, চায়ের দাওয়াত রইলো। যা ঘটেছে, আগামীতে আর এমন কোন ঘটনা ঘটবে না।

এবিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর (রিজিয়ন) এর পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খাঁনা বলেন, থানা থেকে যানবাহন বিক্রি করার সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমান পেলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply