শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
বিচারকের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বিচারকের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মতিহার বার্তা ডেস্ক : সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১-এর সাবেক বিচারক ও বর্তমানে রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় গৃহকর্মীর বাবা-মা, ভাই-বোনের নামে একাধিক মামলা দিয়ে জেল খাটানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষণের শিকার ওই গৃহকর্মী। খবর জাগো নিউজ।

লিখিত বক্তব্যে গৃহকর্মী বলেন, বিচারক হারুন অর রশিদের গ্রামের বাড়ি আমাদের একই এলাকার মাগুরা ঘোনা গ্রামে। তিনি সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী চাচা। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। আমরা তিন বোন ও এক ভাই। দরিদ্র হওয়ায় বিচারক হারুনের মা আমাকে তাদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ দেন।

তিন বছর আগে থেকে তাদের বাড়িতে কাজ শুরু করি আমি। বর্তমানে বিচারক হারুনের তিনজন স্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা হাইকোর্টে মামলা চলমান। মামলার কারণে বিচারক হারুন প্রায়ই গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বিচারক হারুন। লোক লজ্জা আর ভয়ে কাউকে ঘটনা জানাইনি আমি।

গৃহকর্মীর ভাষ্য, ‘দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা চলতে থাকলে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়িতে কাজ করব না বলে জানিয়ে দেই। এরপর আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন বিচারক হারুন। আমাকে মেরে ফেলার ও আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর হুমকি দেন। হুমকির কয়েকদিন পরই আমার এক আত্মীয়কে দিয়ে সাতক্ষীরায় থাকাকালীন আমার বাবা, ভাই-বোনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করিয়ে দেন হারুন। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত ছাড়াই ওয়ারেন্ট জারি করেন তিনি। এরপর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ আমার বাবা ও ভাইকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।’

ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী বলেন, আমার বড় বোন খুলনায় থাকে, তাকেও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। গ্রামের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক দিয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

বর্তমানে আমি ও আমার মা পেপার ছাউনি দিয়ে সেখানে থাকি। প্রতি রাতে স্থানীয় যুবকরা আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। গত এক মাস নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি আমরা।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পাশাপাশি বাবা ও ভাইয়ের জামিন করাতে পারছি না। মামলার নথিপত্র আটকে রেখেছেন বর্তমান বিচারক। জামিন না দেয়ার জন্য প্রভাব খাটাচ্ছেন বিচারক হারুন। এখন আমার মা ও বোনকে জেলে পাঠাবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। আমরা মিথ্যা এসব মামলা থেকে অব্যাহতি চাই। বিচারক হারুন অর রশিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৫ মেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply