আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। আল জাজিরা চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার ইমরান খান বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে তা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের দিকেই যায়। আমি যদি পাকিস্তানের কথা বলি, ভগবান না করুন, আমরা যদি যুদ্ধে হারের পর্যায়ে পৌঁছে যাই, তখন আমাদের কাছে দুটো রাস্তা খোলা থাকবে। হয় আত্মসমর্পণ করা, নইলে নিজেদের মৃত্যু পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা’
এরপরই কাপ্তানের সংযোজন, ‘এরকম পরিস্থিতি হলে পাকিস্তান নিজেদের মৃত্যু পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়াই করবে। আর যখন পমাণু শক্তিধর দুই দেশ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, তার তীব্রতা অনেক ভয়ঙ্কর হয়।’
ইমরান খানের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট করছে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে পতন অনিবার্য পাকিস্তানের। কার্যত তাই স্বীকার করে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাই এই ভারত-পাক যুদ্ধ হলে যে তা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের দিকেই এগোবে।
এর আগে ইমরান বলেছিলেন, ‘আমি যুদ্ধের পক্ষে নই। মনে করি না যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে। ‘ তার সঙ্গে যুক্ত করে সাক্ষাতে তিনি জানান, ‘এই লড়াই যাতে না হয়, সে জন্যই একাধিকবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে পাকিস্তান আবেদন করেছে, সব আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে। কারণ যদি এই যুদ্ধ হয়, তার প্রভাব কিন্তু শুধুমাত্র দু’দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তা গোটা পৃথিবী তার প্রভাব পড়বে।’ কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আলোচনায় না বসারও অভিযোগ করেছেন ইমরান।
জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস রদ করেছে মোদী সরকার। উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে বিধি নিষেধ। দাবি প্রশাসনের। নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের পরই প্রতিবাদ জানায় ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রপুঞ্জে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক আদালতে একাধিকবার আবেদন করেছে ইমরান সরকার। কিন্তু প্রতিবারেই ব্যর্থ তারা। চলতি মাসের শেষেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন মোদী ও পাক প্রধানমন্ত্রী। তার আগে উত্তেজনাকর বক্তব্য পেশ করে ইমরান খান ভারতকে চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মতিহার বার্তা ডট কম ১৬ মেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.