শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
সিন্ধুর সঙ্গে আমার বিয়ে দিন, নইলে ওকে কিডন্যাপ করব! দাবি ৭০ বছরের বৃদ্ধের

সিন্ধুর সঙ্গে আমার বিয়ে দিন, নইলে ওকে কিডন্যাপ করব! দাবি ৭০ বছরের বৃদ্ধের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হলই বা তাঁর বয়স ৭০। তাই বলে কি স্বপ্ন দেখতে নেই? আর স্বপ্ন দেখলে স্বপ্নসঙ্গিনী তো কেউ থাকতেই পারেন, তাই না! তাই বলে সেই সঙ্গিনীকে পাওয়ার জন্য যদি ব্যাকুল হয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে বসেন, তা হলে তা আশ্চর্যের বৈ কী! আর এ ক্ষেত্রে তো যাকে-তাকে নয়, বিশ্বজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুকে বিয়ে করতে চেয়েছেন আবেদনকারী বৃদ্ধ!

হ্যাঁ, এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন তামিলনাডুর রামানাথপুরম জেলার বাসিন্দা, ৭০ বছরের এক ব্যক্তি মালাইসামি। তাঁর দাবি, পিভি সিন্ধুর খেলা এবং কেরিয়ারের উত্থান দেখে তিনি রীতিমতো মুগ্ধ। তাই সিন্ধুকেই পেতে চান জীবনসঙ্গিনী হিসেবে। আর সে জন্য তিনি এতটাই উঠে পড়ে লেগেছেন, যে বকলমে সে ব্যাপারে লিখিত আবেদনও করেছেন জেলাশাসকের কাছে। তবে শুধু আবেদন জানিয়েই ক্ষান্ত হননি। হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

মালাই সামি নামের ওই বৃদ্ধ হুমকি দিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন যদি তাঁর সঙ্গে সিন্ধুর বিয়ের কোনও ব্যবস্থা না করে, তা হলে সিন্ধুকে তিনি অপহরণ করবেন।

এখানেই শেষ নয়। সেইআবেদনে নিজের বয়স লেখার জায়গায় মালাইসামি লিখেছেন, ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল নাকি তাঁর জন্ম হয়েছে। সেই হিসেবে তাঁর বর্তমান বয়স ১৬ বলে দাবি করছেন তিনি। বছর চব্বিশের সিন্ধুকে বিয়ে করার জন্য ব্যগ্র এই মানুষটির মধ্যে অবশ্য এখনও কোনও মানসিক অসুখ খুঁজে পাননি চিকিৎসকেরা। রীতিমতো সাজিয়ে-গুছিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।

এলাকাবাসীর বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশে রামানাথপুরমের জেলাশাসক সাপ্তাহিক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত হয়েই সিন্ধুকে বিয়ের ইচ্ছা জানিয়ে আবেদনপত্র দেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর আবেদনপত্রে সাঁটা ছিল সিন্ধুর এবং তাঁর নিজের ফোটোগ্রাফও। তাতে লিখেছেন, তাঁর চেহারা যেমনই হোক, তিনি আসলে ২০০৪ সালে জন্মগ্রহণ করা বছর ষোলোর এক কিশোর। এবং যেমন করেই হোক, পিভি সিন্ধুকে নিজের জীবনসঙ্গী বানাবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন তিনি।

বৃদ্ধের আবেদন নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে জেলাশাসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর দফতরের কর্মীরা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, এক জন সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধ এমন কাজ কী করে করতে পারেন। অনেকে বলছেন, তিনি নিছক মজা করার জন্যই এমন করেছেন। অথচ তাঁর কথায় বা আচরণে কিন্তু কৌতুকের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি। আবার তাঁর কথাবার্তায় ধরা পড়েনি কোনও অসংলগ্নতাও। তাঁর হাবভাব এমনই, যেন তাঁর আবেদন খুবই জরুরি, এবং সেটা পূরণ না হওয়ার কোনও কারণই নেই।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply