শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রাজশাহী জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল !

সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রাজশাহী জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল !

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় পাঁচটি বছর পর রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয় হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে। এরপর থেকে রাজশাহীতে আর কোনো কাউন্সিল হয়নি। রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দিবসেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এ দুটি সংগঠনের কর্মকান্ড। ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের কমিটিগুলো অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নতুন কাউন্সিলের ওপর জোর দিচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর আগেই কেন্দ্র থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, থানা, ওয়ার্ড ও পৌরসভা পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙে নতুন করে কমিটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।

প্রায় দেড় বছর আগে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই কমিটির মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। তবে সংগঠন দুটির দেওয়া হিসেবে তাদের কমিটির মেয়াদ পার হয়েছে আট মাস আগে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর। আর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর ।

সূত্র জানায়, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দুটির অনুমোদন দেন কাউন্সিলের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর। এ সময় ৭১ সদস্য নিয়ে রাজশাহী জেলার ও ৭১ সদস্য নিয়ে মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ওয়ার্ড ৩৭টি এবং থানা কমিটি পাঁচটি। এই কমিটিগুলোর নেতৃবৃন্দের মধ্যে ৩৯৫ জন কাউন্সিলর হিসেবে ভোট দিয়ে নেতা বাছাই করবেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩৭টি ওয়ার্ডের ১০ জন করে মোট ৩৭০ জন কাউন্সিলর এবং পাঁচটি থানা কমিটির প্রতিটি থেকে পাঁচজন করে মোট ২৫ জন কাউন্সিলর।

আর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৬৯টি কমিটি থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি উপজেলা, ৭২টি ইউনিয়ন ও ১৪টি পৌরসভা এবং এই ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোর সাংগঠনিক ওয়ার্ড ৭৭৪টি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার জানান, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৭টি ওয়ার্ডে ও পাঁচটি থানায় নতুন কমিটি দিয়ে কাউন্সিল দেওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব হবে না। এটা করতে গেলে তাদের আরও সময় দিতে হবে। তবে এই ওয়ার্ড ও থানার পুরোনো কমিটি রেখে নতুন কাউন্সিল দিতে চাইলে ২০ থেকে ২৫ দিনের পূর্ব প্রস্তুতিতেই তা সম্ভব।

তিনি আরও জানান, রাজশাহী মহানগরের চাইতেও বেশি দিনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে। মূলত তাদেরই আগে কাউন্সিল দেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশ হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি দিয়ে জেলা কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে তাদের। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডের কমিটি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এগুলোর পুরনো কমিটি রেখে ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল দেওয়া সম্ভব।

এ দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এরই মধ্যে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রার্থীরা। তাদের অনুসারীরাও বসে নেই। যোগাযোগ করছেন দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে। যাদের ভোটেই নির্বাচিত হবে আগামীর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা।
মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, এবারের কাউন্সিলেও বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি প্রার্থী থাকছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মহানগর আওয়ামী লীগে খায়রুজ্জামান লিটনের কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে তৈরি হয়নি।
এ দিকে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদে এবারও প্রতিদ্বন্দিতার কথা শোনা যাচ্ছে। যে নামগুলো প্রথম সারিতে আছে তার মধ্যে রয়েছে- ডাবলু সরকার, গতবারের প্রার্থী আহসানুল হক পিন্টু ও অধ্যক্ষ বাদশা, অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, নওশের আলী এবং আজিজুল আলম বেন্টু। এর পাশাপাশি মহানগর যুবলীগের বর্তামান সভাপতি রমজান আলীর নামও শোনা যাচ্ছে।

এক সময়ের ছাত্র নেতা আহসানুল হক পিন্টু বলেন, গত কাউন্সিলেও আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। এবারও একই পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। গতবার ৭১ ভোট পেয়েছিলাম। তবে এবার আরও বেশি ভোট পাব বলে আশা করছি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তবেই আমি একই পদে আবারও প্রার্থী হব। মহানগর আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলের আগে আমি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে দোয়া চাইব, তার পর তিনি যা বলবেন তাই করব। অধিকার।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply