শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
ধামরাইয়ে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলা

ধামরাইয়ে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলা

রাজশাহীর সময় ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদে মাগরিবের নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

এতে ৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারা ধামরাইয়ের ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে গ্রামবাসী।

সোমবার পূর্ব শক্রতার জের ধরে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামের ঈদগাহ জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে বাইচাইল ঈদগাহ জামে মসজিদের মাঠে ওই এলাকার চানমিয়া, ময়শের, বারেক, উজালা, সাহেরার নেতৃত্বে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শত শত নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বাইচাইল গ্রামের মো. আবুল হোসেন বলেন, পূর্বে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে এবং আমাদের মসজিদ ভেঙে গুরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখনও সেই মসজিদ নতুন করে তৈরি করতে পারিনি। আবার আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে ৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। তারা ধামরাইয়ের ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভোক্তভোগী হাফিজুদ্দিন বলেন, সোমবার আমরা মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম। তখন নামাজের শেষ দিকে খোরশেদ আলমের ছেলে আহমদ আলী ও মুহাম্মদ আলী, গফুর মুন্সি, মাসুদ দেওয়ান, জয়নাল, মোতালেবসহ প্রায় ২০-২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তখন আমরা কোনোরকমে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। তারপরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকেই ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাইচাইল গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ শুকুর আলী (৮০) বলেন, আমি নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আমাকে ২ জনে ধরে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যারা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা কি করে মুসলমান হতে পারে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।

এই বিষয়ে ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মো. আ. রশিদ বলেন, আমরা মাগরিবের নামাজ পড়ার শেষের দিকে হঠাৎ করে নামাজের পিছনের কাতার থেকে মো. শরিফুল ইসলাম নামে একটি ছেলে বলে আপনারা সবাই মসজিদ থেকে পালান। লাঠি নিয়ে লোকজন এদিকে আসছে। তখন যার যার মতো দৌড়ে আমরা পালিয়ে যাই। এদের মধ্যে ৫ জনকে ধরে বেধরক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে তারা চলে যায়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাইচাইল গ্রামের মো. আবুল হোসেন, মো. রিয়াজ, মো. আবুল বাশার, মো. সামছুল, চাঁনমিয়া, সিদ্দিক, উজলা, ছাহেরা, জুলেখা, রেজিয়াসহ গ্রামের অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, মুসল্লিদের হামলার ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে খোরশেদ ও মোতাহারসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সুত্র: যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৪  সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply