শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
নিয়মের তোয়াক্কা করছে না মালিকরা, রাজশাহীতে তিন ফসলি জমি নষ্ট করছে ইটভাটা

নিয়মের তোয়াক্কা করছে না মালিকরা, রাজশাহীতে তিন ফসলি জমি নষ্ট করছে ইটভাটা

নিয়মের তোয়াক্কা করছে না মালিকরা, রাজশাহীতে তিন ফসলি জমি নষ্ট করছে ইটভাটা
নিয়মের তোয়াক্কা করছে না মালিকরা, রাজশাহীতে তিন ফসলি জমি নষ্ট করছে ইটভাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে নিয়ম নীতি’র তোয়াক্কা করছেন না ইটভাটা মালিকরা। তিন ফসলি জমিতেই গড়ে তোলা হচ্ছে ভাটা। এই সব ইট ভাটায় ইটের আকারেও ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। নিজেরা লাভবান হতে বিএসটিআই এর নির্দেশনা অমান্য করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার সরেজমনি রাজশাহীর বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, তিন ফসলী জমিতে ইটভাটা নির্মাণের বিধি নিষেধ থাকলেও আইনকে উপেক্ষা করে রাজশাহীর নগরীর বুধপাড়া এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাটা। মাত্র আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় গত কয়েক বছরে নির্মাণ করা হয়েছে অন্তত ৩০টি ইটভাটা।

তিন কিংবা দু’ফসলী জমিতে ইট ভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেননা ভাটা মালিকরা। এছাড়া, প্রতিটি ইটভাটায় সর্বোচ্চ ২ একর জমি ব্যবহারের কথা থাকলেও ভাটা মালিকরা ব্যবহার করছেন অতিরিক্ত জমি।
এছাড়া ফসলী জমি থেকে মাটি উত্তোলন করেই তৈরি করা হচ্ছে ইট। এতে ভাটার পাশে সৃষ্টি হচ্ছে গভীর জলাশয়। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ছে।

এদিকে বিএসটিআই থেকে ইট তৈরীর জন্য একটি নির্ধারিত মাপ রয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটাকে এই নির্ধারিত মাপ অনুসারে ইট তৈরী করতে হবে। বিএসটিআই নির্ধারিত ইটের মাপ হচ্ছে দৈর্ঘ্য ২৪ সে.মি, প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সে.মি এবং উচ্চতা ৭ সে.মি।

তবে দৈর্ঘ্য ৬ মি.মি, প্রস্থে ৫ মি.মি. এবং উচ্চতায় ২ মি.মি. কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু ভাটা মালিকরা এই নিয়মও মানছেন না। সব ক্ষেত্রেই তাদের মাপ আরো কম। এমনকি ইটের উপর ভাটার নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিয়ম রয়েছে। সেটিও মানা হয় না।

রাজশাহীর এফবিআর ভাটায় গিয়ে দেখা গেল ভাটায় এখনও সাজানো আছে ইট। সেখান থেকে ইট নিয়ে মেপে দেখা গেল কোনটির মাপই ঠিক নেই। একই দৃশ্য এআরএস, সামাদ, মবিএ ভাটাতেও। এসব ভাটার মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা গণমাধ্যমে কোন কথা বলতে রাজী হন নি। তবে এসব ভাটার কর্মচারীরা জানিয়েছেন, মালিক যে ফর্মা এনে দেয় তাতেই ইট বানানো হয়। আমরা নিয়ম জানিনা।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য একধিকবার ফোন করলেও এমএবির মালিক শহিদুল ইসলাম ও এফবিআর এর মালিক ফজলুর রহমান মোবাইল ধরেন নি। এদিকে মাত্র আড়াই বা তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৩০টি ভাটা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পেলো কিভাবে তা জানতে রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পিরচালক মামুনর রশিদকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
রাজশাহী ভোক্তা অধিকার অধিদফতর এর উপ-পরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এর আগেও আমরা অভিযান চালিয়েছি। এবার মৌসুমেও অভিযান চালাবো। এছাড়া কেউ নির্দিষ্ট প্রমানসহ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রাজশাহী বিএসটিআই এর উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার এর নিকট উথস্থাপন করেছি। তিনি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই এটির বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো। তখন এর মাপ ঠিক না পেলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।     

রাজশাহীর সময় ডট কম –২৭অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply