শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ১৬ বছর পর উন্মুক্ত হল রাঙামাটি পার্ক

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ১৬ বছর পর উন্মুক্ত হল রাঙামাটি পার্ক

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ১৬ বছর পর উন্মুক্ত হল রাঙামাটি পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৬ বছর পর যাত্রা শুরু করলো রাঙামাটি পার্ক। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে পার্কটি আনুষ্ঠানিক উন্মুক্ত করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পার্কেটি সংষ্কার করার। কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে পার্কটির একটি নতুন রূপ দিয়েছে।

 

জানা গেছে, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাঙামাটি পার্কের সংস্কার ও উন্নয়নের। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতার কারণে দখল হয়ে যায় রাঙামাটি পার্কটি বেশিরভাগ জমি। পার্কে শিশু-কিশোরদের চেয়ে বেশি আনাগোনা ছিল বখাটেদের। তাই আস্তে আস্তে বিলপ্ত হয়ে যায় পার্কের সৌন্দয্য। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায় পার্কের সব সরঞ্জাম।

 

এদিকে রাঙামাটি শহরে দীর্ঘ ১৬ বছর পর শিশু-কিশোরদের একটি বিনোদনের স্থান পেয়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পার্ক উন্মুক্ত করার পর ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষের। শিশু-কিশোরদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো পার্কস্থল। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে সবাই। উচ্ছ্বাসের আমেজ ছড়িয়ে পরে চারপাশে। রাঙামাটি মূল শহরের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে স্থান পায় পার্কটি।


পার্কে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন বিনোদন সামগ্রীও বসানো হয়। এছাড়া পার্ক জুড়ে রয়েছে হরেক রকম ফুলের বাগান। প্রকৃতির সৌন্দয্যে আদলে পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।

 

রাঙামাটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন বলেন, রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পার্কেটি সংষ্কার করার। কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে পার্কটির একটি নতুন রূপ দিয়েছে।

 

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটি পার্কটি সংষ্কারের জন্য বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা রয়েছে। নতুন রূপের পার্কটি সাজানোর হয়েছে শুধু মাত্র সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য। তারা যাতে এ পার্কে খেলাধূলা করতে পারে তার জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম এখানে স্থাপন করা হয়েছে। আরও কিছু বিনোদনমূলক খেলার সামগ্রী এখানে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

 


রাঙামাটি পার্কটি একমাস পর্যন্ত প্রবেশমূল্য ছাড়া উন্মুক্ত থাকবে। এরপর পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাধারণ প্রবেশমূল্য নিধারণ করা হবে। পার্ক উন্মুক্ত থাকবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

 

তিনি বলেন, শিশু পার্কটি প্রতিদিন বিকেলে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এরমধ্যেই পার্কের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পার্কটির জন্য একটি ফান্ড করা হবে যাতে সেটি তার আয় থেকে চলতে পারে।

এদিকে, একই দিন বিকেলে শহরের আপার রাঙামাটি এলাকায় একটি প্রবীণ পার্কেরও উদ্বোধন করেন ডিসি। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত পার্কটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উন্নয়ন করে উদ্বোধন করা হয়।

 

পার্ক দু’টি উদ্বোধনের সময় রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সফিউল আজম, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রবীণ সংঘের সভাপতি নীতিশ তালুকদার, সদস্য কাজল তালুকদার, স্বপন চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সমাজকর্মী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply