শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহী রাণীনগর নৈশ-উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের তদন্ত কমিটি গঠন

রাজশাহী রাণীনগর নৈশ-উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের তদন্ত কমিটি গঠন

রাজশাহী রাণীনগর নৈশ-উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের তদন্ত কমিটি গঠন
রাজশাহী রাণীনগর নৈশ-উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর রাণীনগর নৈশ-উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট বানিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামকে তদন্তভার দায়িত্ব দেদয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসিরুদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রানীনগর নৈশ বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট বানিজ্যের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সেই সাথে পত্রিকা কাটিং করা হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কমিট কমিটি গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরুর করার জন্য থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামকে তদন্তভার করা হবে।

এদিকে রানীনগর নৈশ বিদ্যালয়ে গিয়ে অফিস সহকারী সোহেল ও একাধিক শিক্ষক সার্টিফিকেট বানিজ্যের কথা জানেন বলে জানান।

এর আগে গত শনিবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২য় শ্রেণী কক্ষে -২ জন, ৩য় শ্রেণী কক্ষে-৩ জন, ৪র্থ শ্রেণী কক্ষে – ৪ জন, ৫ম শ্রেণী কক্ষে- ২জন, ৯ম শ্রেণী কক্ষে – ১জন, ১০ম শ্রেণী কক্ষে-৭ জন ছাত্র-ছাত্রী। সবমিলে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল-১৯ জন ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষক জানান, রাণীনগর নৈশ বিদ্যালয় দিন দিন ছাত্র ছাত্রী শূন্য হয়ে পড়ছে। তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তার সার্টিফিকেট বানিজ্য আর শিক্ষকদের নিয়ে চায়ের স্টলে আড্ডা নিয়েই ব্যস্ত।

তিনি আরো বলেন, করিম স্যারের আমলে প্রত্যেকটি ক্লাশে কমপক্ষে ২০জন করে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত থাকতো। এখন স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রী ১৮ থেকে ২০জন উপস্থিত থাকে ।

শিক্ষকরা বলেন, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসফোর্ট ভিসার জন্য অশিক্ষিত লোকজনের নিকট নিকট ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক।

আর একেকটি সার্টিফিকেটের মূল্য নেন ৫’শত টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য গ্রহণ করেন তিনি।

গত (২৯ অক্টবর) ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট বিক্রির কথা স্বিকার করেন প্রধান শিক্ষক। যা আমাদের মমুঠো ফোনে রেকর্ড রয়েছে। তবে টাকা অংকটা এড়িয়ে যান তিনি।

নগরীর প্রায় ৮০ ভাগ ৮ম শ্রেণী পাশের সনদ বিক্রি করেন তিনি। গত বছর অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশ সরকার কতৃক সরবরাহকৃত স্কুলের পাঠ্য বই বিক্রি করেছেন। যাহার ওজন ৫৮০ কেজি। বই বিক্রির পুরো টাকাও লোপাট করেন একাই শিক্ষক। এ তথ্যের সত্যতা স্বিকার করেন স্কুলের পিয়ন দুলাল।

একাধিক শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ের এসএসসি ও জেএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রশংসা পত্র, নম্বর পত্র ও সনদপত্রের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ২’শত টাকা থেকে ৫’শত টাকা হারে আদায় করে থাকেন। সেই টাকা অত্র বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা না করে আাত্নসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ। কারন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন দেয়া হয়নি বা এ সংক্লান্ত বিষয়ে কোন আলোচনা কিংবা নোটিশও জারি করেননি প্রধান শিক্ষক।

অভিভাবকদের মধ্যে বিদ্যালয়ের কোন ছাত্র-ছাত্রীদের উক্ত ম্যানেজিং কমিটিতে অভিভাবক নাই।

সাদা ফরম তৈরী করে অভিভাবক সদস্য করে গোপনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি মনগড়া ভাবে গঠন করেছেন প্রধান শিক্ষক। যাহা নিয়ম বহিভূত।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। আর আসলেও সময় মতো আসেন না। ক্লাশ রুম পরিদর্শণ করেন না। নিজ পছন্দের শিক্ষকদের নিয়ে চায়ের স্টলে বসে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান।

একাধিক অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসে তার সহযোগী শিক্ষকদের নিয়ে কাশিমপুর কুঠিতে (কাশেমের হোটেল) ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকেন।

বিদ্যালয়ের ২০১৬/১৭/১৮/১৯ সালের এসএসসি ও জেএসসি ফরম পূরুনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রাখেন।

স্কুলে ২বছরের কোচিং-এর টাকা কোন শিক্ষকদের না দিয়ে তা তিনি একাই লোপাট করেছেন। এ কারনে স্কুলে কোচিং বন্ধ হয়েছে। কারন পারিশ্রমিক ছাড়া কোন শিক্ষক কোচিং করাবেন না।

নির্বাচনী পরিক্ষায় যারা উত্তির্ণ হয় না (অন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী) তাদের নিকট অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ফরম পূরুণ করে থাকেন। সেই সাথে ব্যংকে টাকা জমা না দিয়ে নিজের পকেটে পুরে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক শফিকুলের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম-এর মুঠো ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট দিয়ে আমি মানুষের উপকার করি। তবে টাকার অংক এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন , চা-মিষ্টি খেতে যে যা দেয় তা আমি গ্রহণ করি। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়গুলি জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।  

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৫ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply