শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
বিএমডিএ’র উদ্যোগে নওগাঁয় দেড় লাখের বেশি কৃষকের মুখে হাসি

বিএমডিএ’র উদ্যোগে নওগাঁয় দেড় লাখের বেশি কৃষকের মুখে হাসি

বিএমডিএ’র উদ্যোগে নওগাঁয় দেড় লাখের বেশি কৃষকের মুখে হাসি
বিএমডিএ’র উদ্যোগে নওগাঁয় দেড় লাখের বেশি কৃষকের মুখে হাসি

এসএমবিশাল: বছর চারেক আগেও জলাবদ্ধতার কারণে হেক্টরের পর হেক্টর জমি চাষ করতে পারেননি কৃষক। ঋণ করে ফসল লাগিয়েছেন তবে অধিকাংশ সময়ে সেই ফসল ঘরে ওঠেনি। চার বছরের ব্যবধানে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। আবাদের আওতায় এসেছে ১৬ হাজার হেক্টরের বেশি পতিত আবাদি জমি। বেড়েছে ধান উৎপাদন। সুফল ভোগ করছেন নওগাঁর ৬ টি উপজেলার প্রায় দেড় লাখের বেশি কৃষক।

এই এলাকার কৃষকরা বলছেন, বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) উদ্যোগে এক খাল খনন প্রকল্পই বদলে দিয়েছে এই চিত্র। ‘নওগাঁ জেলার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প’ নামের এই প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে।

বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ সদর, মান্দা, রাণীনগর, আত্রাই, পত্নীতলা, ধামইরহাট এই ৬ উপজেলার উপর দিয়ে প্রায় ৯৩ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ ও ক্রস ড্যামসহ ১৩টি।

এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকল্পটি শেষ হয়। যার কারণে বছর প্রতি ধান, রবি শষ্যসহ ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। যদিও এর আগে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা ও কিছু এলাকায় পানি না থাকার কারণে এই এলাকাগুলো পতিত থাকতো বলে জানান কৃষকরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার মাগনা কোমরকোঠা এলাকার আফজাল শাহ নামের এক কৃষক বলেন, বন্যার পানি জমে থাকতো। আগে ঘরবাড়ি ডুবে যেতো। ধান লাগাতে ২ থেকে ৩ মাস দেরি হয়ে যেতো, আর সময় ধান কাটার আগেই বন্যা চলে আসতো। অনেক ধান উঠানো যায়নি। তবে এখন সময় মতোই ফসল আবাদ সক্ষম হয়েছে।

মান্দা উপজেলার গড়িয়াচান এলাকার ইনছের আলী নামের কৃষক বলেন, বোরো আবাদ নিশ্চিত করেছে এই কাজটি। জমিগুলো চাষ উপযোগী হয়েছে । প্রতি হেক্টরে যেখানে আগে ধান উৎপাদন হতো ৬০ থেকে ৭০ মণ। সেখানে এখন ১০০ থেকে ১১০ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও বিএমডিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম মাহফুজুর রহমান বলেন, পূর্বে আমন, আউশ, বোরো এবং রবি শষ্য উৎপাদন করতে পারিনি আমরা। এখন পতিত জমিগুলো আবাদের আওতায় আসছে। যার উপকার ভোগ করছেন প্রায় ৮০ হাজার মহিলা ও ৮৫ হাজার পুরুষ। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বছরে প্রায় ২৩০ কোটি টাকার ফসল অতিরিক্ত উৎপাদন হচ্ছে এই এলাকা থেকে। শুধু ধান উৎপাদন নয়, সবজিচাষ, হাঁসপালনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এই উদ্যোগ।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৭ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply