শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
ড্যাশ ডায়েট : রক্তচাপ ও ওজন সামলান একসঙ্গে

ড্যাশ ডায়েট : রক্তচাপ ও ওজন সামলান একসঙ্গে

মতিহার বার্তা ডেস্ক: হাইপারটেনশনকে নানাভাবেই সামলানো যায়। কিন্তু একইসাথে যদি ওজনটাও সামলে নেওয়া যায় তাহলে খারাপ কী! ওষুধ ছাড়াই খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে রক্তচাপকে কমিয়ে আনার এমন অসাধারণ একটি উপায় হলো ড্যাশ ডায়েট।

হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং ওজনকে স্বাভাবিক রাখতে এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের মতে অন্যতম কার্যকরী ডায়েট এটি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান? চলুন, ড্যাশ ডায়েট সম্পর্কে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

ড্যাশ ডায়েট কী?

ড্যাশ ডায়েট হলো হাইপারটেনশনের ভুক্তভোগীদের শারীরিক সমস্যাকে খাবারের মাধ্যমে কমিয়ে আনার একটি কার্যকরী উপায়। কীভাবে এটি কাজ করে? মূলত, খাবারের কোনো একটি অংশকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে ফেলার মতো কোনো পদ্ধতি ড্যাশ ডায়েটে অবলম্বন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে স্বাভাবিক ও যথেষ্ট, অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে দেওয়া হয়।

চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ান এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে এই ডায়েট অনেক বেশি জনপ্রিয়। উচ্চ রক্তচাপ বাদেও আমাদের শরীরের অন্যান্য সমস্যাকেও কমিয়ে আনে এই ড্যাশ ডায়েট।

ড্যাশ ডায়েটে সাধারণত ফল এবং সবজি বেশিরভাগ অংশে রাখা হয়। সাথে ফ্যাট নেই এমন ডেইরি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাছ এবং মুরগীর মাংস রাখা হয়। এখানে মূল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে রোগীর খাবার তালিকা থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা।

যেজন্য এই খাদ্যাভ্যাস শুধু উচ্চ রক্তচাপকে কমাতেই নয় হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। ড্যাশ ডায়েটকে কম সোডিয়ামযুক্ত খাবারও বলা যায়। যাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা আছে বা যারা ইতোমধ্যেই এই ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য এই ডায়েট অসম্ভব ভালো।

ড্যাশ ডায়েটের ধরন

একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা কেমন সেটার ওপর নির্ভর করে তার ড্যাশ ডায়েটের ধরন কেমন হবে। এই ধরনগুলো হচ্ছে-

স্ট্যান্ডার্ড ড্যাশ ডায়েট। এই ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে প্রতি দিন ২,৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম রাখা হয়।

লোয়ার-সোডিয়াম ডায়েট। এই পরিকল্পনায় সোডিয়াম গ্রহণ আরেকটু কমিয়ে প্রতি দিনে ১,৫০০ মিলিগ্রামে আনা হয়।

ঠিক কতটা খাবার ড্যাশ ডায়েটে রাখতে পারবেন আপনি?

খাদ্যাভ্যাসের পরিকল্পনা কেমন হবে সেটা পুরোটাই আপনার এবং আপনার চিকিৎসকের ওপরে নির্ভর করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্যাশ ডায়েটে আপনি-

৬ থেকে ৮ পরিবেশনা শস্য, ৬ কিংবা আরও কম পরিবেশনার মাংস, মাছ এবং মুরগি, ৪ থেকে ৫ পরিবেশনার সবজি, ৪ থেকে ৫ পরিবেশনার ফল, ২ থেকে ৩ পরিবেশনার চর্বিহীন দুগ্ধ পণ্য এবং ২ থেকে ৩ পরিবেশনার চর্বি বা তেল রাখতে পারেন।

যেখানে খাদ্যপুষ্টির মধ্যে মোট ক্যালোরির ২৭ শতাংশ ফ্যাট, ৬ শতাংশ  স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১৮ শতাংশ প্রোটিন, ৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেটস, ১৫০ গ্রাম কোলেস্টোরেল, ৩০ গ্রাম আঁশ রাখার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার ওজন বাড়ানো বা কমানোর উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ড্যাশ ডায়েটে প্রতিদিন ১২০০, ১৪০০, ১৬০০, ১৮০০, ২০০০, ২৬০০ এবং ৩০০০ ক্যালোরি রাখা হয়।

ড্যাশ ডায়েট কি আপনার নিজের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী মনে হচ্ছে? এ ব্যাপারে আরও কিছু জানতে চান? তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিজের ওজন এবং ড্যাশ ডায়েটের পরিকল্পনা নির্ধারণ করুন। ওজন আর অসুখ যদি একসঙ্গে কমানো যায়, তাহলে ক্ষতি কী?

সূত্র : এভরিডেহেলথ

মতিহার বার্তা ডট কম –১ মার্চ , ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply