নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে নৌ পুলিশের প্রথম অভিযানে ৪’শত বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার। ২০০ বোতল ফেন্সিডিল আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে এএসআই খালেদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত (৫ জুন) শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চারঘাট থানাধিন চক-মুক্তার পুর মাছের আড়ৎ-এর পাশে পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় এএসআই খালেদ কন্সটেবল এখলাস, আজাদসহ ৬জন ফোর্স।
ওই সময় কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারী ও ডিলার আজাদ ২ বস্তা ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ফেলে যাওয়া ফেন্সিডিলের জব্দ করে নৌ-পুলিশের সদস্যরা। একেক বস্তায় ২০০ পিস করে ২ বস্তায় মোট ৪০০ পিস ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ২০০ পিস ফেন্সিডিল আত্মসাৎ করে নিজ বাড়ির খাটের নিচে রাখে এএসআই খালেদ। বলে এগুলো পরে আলাপ আলোচার মাধ্যমে বাটোয়ার করবো। আর ২০০ পিস ফেন্সিডিল রাজশাহীর মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীতে জমা দেন তিনি।
সোর্স জানায়, ৫০% ফেন্সিডিল দেওয়ার কথা বলে এএসআই খালেদ আমাকে ম্যানেজ করে। বলে আমরা নতুন ফাঁড়িতে জয়েন্ট করার পর থেকে একটি কাজও করতে পারিনি। আমাদের একটা কাজ দেন ৫০% আপনাকে (সোর্সকে) দেবো। জিবনের ঝুকি নিয়ে সোর্স নৌ-পুলিশের সাথে থেকে অভিযান করে ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।
সোর্স আরো বলে, দুই বস্তার ফেন্সিডিল আমি নিজে হাতে গুনে ৪০০পিস বুঝে পেয়েছি। কিন্তু ফেন্সিডিল উদ্ধারের পর থেকে আমাকে আজ-কাল বলে সময় পার করেন ওই এএসআই।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (৯জুন) মুঠো ফোনে ফোন দিলে ওই এএসআই সোর্সকে গালিগালাজ করাসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এএসআই খালেদ।
মুঠো ফোনে জানতে চাইলে নৌ-পুলিশের এএসআই খালেদ বলেন, আমি ২০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করেছিলাম। অফিসকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম স্যারের কাছে জানুন বলে ফোন কেটে দেন।
নৌ-পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে আমি ছিলাম না। আমাদের ফোর্সের সদস্যরা অভিযান করে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল জমা দিয়েছে। যাহা আমি পরের দিন অর্থাৎ (৬জুন) জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে বিজ্ঞ আদালতে কাগজ পাঠিয়েছি।
এদিকে সোর্সের সাথে পুরো অভিযানের বিষয়গুলি ও আলাপ চারিতার কথা মুঠো ফোনে রেকর্ড রয়েছে। শুধু তাই নয় অভিযানে ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়েছে। সেই বিষয়ে কর্মকর্তাদের মুখোমুখিও হতে চায় সোর্স।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম রাজশাহীতে গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নৌ-পুলিশের ফাঁড়ি’র কার্যক্রম শুরু হয়। ফাঁড়িটি চারঘাট থানাধিন মুক্তারপুরে অবস্থিত। ফাঁড়ি’র কার্যক্রম শুরুর পর গত শুক্রবার (৫ জুন) নৌ-পুলিশের প্রথম অভিযানে ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়। তার মধ্যে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল আত্মসাৎ করে অভিযানকারী টিমের প্রধান এএসআই খালেদ। (যাকে বলে বিসমিল্লাহ্তেই চুরি)।
রাজশাহীর সময় ডট কম –০৯ জুন, ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.