শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
এএসআই ইউসুফের বিরুদ্ধে পরোকীয়া ও মাদক ব্যবসার পরিচালনা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

এএসআই ইউসুফের বিরুদ্ধে পরোকীয়া ও মাদক ব্যবসার পরিচালনা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

            “এএসআই ইউসুফের বিরুদ্ধে পরোকীয়া ও মাদক ব্যবসার পরিচালনা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ”

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত এএসআই ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে পরোকীয়া ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এএসআই ইউসুফ নির্বিঘ্নে পরোকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ও মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখলেও তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী মো: সুরাজ আলী প্রতিকার পেতে এবং অভিযুক্ত এএসআই ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, রাজশাহী মহানগর (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন রামচন্দ্রপুর (কালুমিস্ত্রির মোড়) এলাকার বাসিন্দা মো: সুরাজ আলী। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবন ও সংসার ভালোই চলছিল। সুরাজের বাসার পাশেই বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি। এই ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন এসআই রতন। বাসা ও ফাঁড়ি কাছাকাছি হওয়ায় সুরাজের সাথে এসআই রতনের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে সুরাজের বাসার নিচ তলা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন রতন।

এরই এক পর্যায়ে এসআই রতনের মাধ্যমে সুরাজের সাথে এএসআই ইউসুফের পরিচয় হয়। এরপর থেকে ইউসুফ মাঝে মধ্যে এসআই রতনের সাথে দেখা করার জন্য তার ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন। এরই সূত্র ধরে এএসআই ইউসুফ এসআই রতনের মাধ্যমে সুরাজের কাছে প্রস্তাব দেন যে, তার (ইউসুফ) স্ত্রী চিকিৎসার জন্য রাজশাহী আসবেন। কিছুদিন রাজশাহী থাকতে হবে। তাই সুরাজ তার বাসায় অসুস্থ স্ত্রীসহ ইউসুফকে থাকার অনুমতি দিলে উপকার হবে।

কথা অনুযায়ী, স্ত্রীকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য সপ্তাখানেক সুরাজের বাসায় সস্ত্রীক অবস্থান করেন ইউসুফ। তখনই সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুরাজের স্ত্রী মোসা: রেশমা খাতুনের সাথে পরোকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ইউসুফ। চিকিৎসা শেষে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় পাঠিয়ে দেন ইউসুফ। আর এরপর থেকে অব্যাহতভাবে রেশমার সাথে চলতে থাকে পরোকীয়া সম্পর্ক।

পরোকীয়া সম্পর্কের সুবাদে নানা প্রভোলন দেখিয়ে রেশমাকে দিয়ে মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি শুরু করান ইউসুফ। গত ৩ মার্চ রাতে ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রেশমা। তাকে ছাড়াতে ইউসুফের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন রেশমা।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি ইউসুফ। রেশমা-সুরাজের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি জিইয়ে রাখতে নতুন নতুন বীজ বপন করেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিল- এই দম্পতিকে আলাদা করে ফেলবেন। সফলও হয়েছেন তিনি। এই দম্পতি বর্তমানে আলাদা থাকেন। স্বামী তালাকনামা পাঠিয়েছেন; কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি।

ভুক্তভোগী সুরাজ আলী বলেন, দাম্পত্যজীবন টিকিয়ে রাখতে ও ১৩ বছরের সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে উচ্চ আদালত থেকে স্ত্রীকে জামিনে মুক্ত করাই। কিন্তু ২৮ মে জামিনে জেলহাজত থেকে বের হওয়ামাত্রই আমার স্ত্রী রেশমাকে নিয়ে চলে যান ইউসুফ। শেষে বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রী রেশমার কাছে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ইউসুফ ও রেশমা বিভিন্ন সময়ে আমাকে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় আমি এবং আমার সন্তান চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি দ্রুত অভিযুক্ত ইউসুফ ও রেশমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে বৃহস্পতিবার রাতে এএসআই ইউসুফের মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

মতিহার বার্তা ডট কম – ১১ জুন, ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply