শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
চাঁদা না দেয়ায় পশ্চিম রেলের কর্মীকে জিয়া হেনস্থার অভিযোগ

চাঁদা না দেয়ায় পশ্চিম রেলের কর্মীকে জিয়া হেনস্থার অভিযোগ

চাঁদা না দেয়ায় পশ্চিম রেলের কর্মীকে জিয়া হেনস্থার অভিযোগ
চাঁদা না দেয়ায় পশ্চিম রেলের কর্মীকে জিয়া হেনস্থার অভিযোগ

মতিহার বার্তা ডেস্ক : চাঁদা না দেয়ায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এক কর্মচারীকে হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই কর্মচারী রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই কর্মচারীর নাম জিয়াউর রহমান। তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরে বার্তা বাহক হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার হাতিনাদা গ্রামে। তার স্ত্রীও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী।

জিয়াউর রহমানকে গত ২ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করেছে পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ। জিয়াউর রহমানের দাবি, কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেয়ায় তারা পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কাছে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেন। তারাই চাপ দিয়ে তাকে বরখাস্ত করিয়েছেন।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন পশ্চিম রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ নিজেও। তিনি বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি জিয়াউরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। তারা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

জিয়াউর রহমান আরএমপি কমিশনারের কাছে দেয়া অভিযোগে বলেছেন, গত ২৭ জুন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। কারণ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি তাকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। বলেন, জিয়াউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। দেখা না করলে সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

এরপর শিরোইল এলাকার রেজাউল নামের আরেক ব্যক্তি তাকে ফোন করেন এবং ডাকেন। বলেন, তার রিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে মিমাংসা করে দেবেন। কিন্তু জিয়াউর যাননি। তিনি বলেন, এরা কয়েকজন একটি চক্র। তার কাছে চাঁদা চাইছিল। কিন্তু তিনি চাঁদা দেননি। এ কারণে তারা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। এরপর সেসব বিষয়ে নামসর্বস্ব কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।

এসবের প্রেক্ষিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চান। পাশাপাশি তিনি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন, তাদের বিষয়ে যেন পুলিশ অনুসন্ধান করে। তারা সাংবাদিক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান ভুক্তভোগী কর্মচারী জিয়াউর রহমান।

জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এ ধরনের একটা অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পশ্চিম রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ বলেন, জিয়াউরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে যারা জিয়াউরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন তারা সাংবাদিক পরিচয়ে নানা অপকর্মে জড়িত বলেই খোঁজ নিয়ে জেনেছি। সোনালী সংবাদ।

মতিহার বার্তা  ডট কম –০৬ জুলাই২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply