নিজস্ব প্রতিবেক: চেয়ারম্যানকে পদে পদে বাধা দিচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সদস্যরা। এনিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি , সচিব, সদস্যসহ ১৭ জন । তাতে সরকারী কাজে বাধা দানসহ অসহযোগীতার অভিযোগ আনেন তারা।
গত ৮ জুলাই দাখিল করা ওই অভিযোগে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরক, জালাল উদ্দিন জালাল, সেমাজুল হক, আবুল কালাম আজাদ, আবুল কালাম, ইসরাফিল হক, রুবেল আলী, সংরক্ষিত নারী সদস্য মিলি বেগম ও সুফিয়া বেগম পরিষদের কার্যক্রমে তাকে কোন ধরণের সহায়তা করছেননা।
উল্টো সরকারী কাজে নানান কায়দায় বাধা প্রদান করছেন। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুন সাড়ে ৭ টন জিআর চাল বরাদ্দ পায় পরিষদ। সেই চাল বিতরণে পরদিন জরুরী সভা আহবান করা হয়। কিন্তু সভায় উপস্থিত না হয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে এই চাল ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেন।সদস্যদের এই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনগত রাত ১০টার দিকে চাল লুটের উদ্দেশ্যেে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জালাল আমার দপ্তরে প্রবেশ করে গুদামের চাবি চান। চাবি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেন। ওই সময় ৪ লাখ ২২ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই বুঝিয়ে চান।
তার ওয়ার্ডের পূর্ব শেখপাড়া গোরস্থান উন্নয়ন কাজ নামমাত্র করে এক লাখ টাকা নিয়ে যান। এই সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ও মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনেন চেয়ারম্যান। লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান আরো উল্লেখ করেন, নারী সদস্য মিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে বিধবা ভাতা উত্তোলন করছেন। তার ভাতা বাহি নম্বর ৩৯৫৩। যা একেবারেই বেআইনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী সদস্য মিলি বেগম অপরাধ স্বীকার করে বলেন, স্বামী মৃত তাই তিনি বিধবা ভাতা উত্তোলন করেন।
ইউপি সদস্য ইসরাফিল হক বালুবাগান এলাকার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে জালালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসি করণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই কাজ তড়িঘড়ি করে সমাপ্ত করেছেন তিনি। চেয়ারম্যানের অভিযোগ , গ্রাম আদালতে উপস্থিত না হয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরে শালিস আয়োজন করেন পরিসদের ওই সদস্যরা। এতে ন্যায় বিচার বন্চিত হচ্ছেন বিচার প্রার্থীরা।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায় ইউপি সদস্য রুবেল আলী বছরের বেশী সময় অবস্থান করেন বিভিন্ন রোগিনিয়ে ভারতে। রোগিদের পাসপোর্ট, ভিসাপ্রসেসিং সবই করেন তিনি। এজন্য তাকে রোগির দালাল নামেও অনেকেই চিনেন। ইউপি সদস্য হিসবে এলাকার মানুষ তাকে কাছে পায় কম। আরেক সদস্য সেমাজুল হকের বিভিন্ন অপরাধে সরকারীভাতা বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। সদস্য সেমাজুল হক প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অর্থ দিয়ে ম্যনেজ করার চেষ্টা করেন।
তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ৩০ জুন সকালে প্রকাশ্যে তার উপর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা চালান সদস্যরা। এনিয়ে পরে তিনি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এই পরিস্থিতি তিনি সরকারী কাজে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান চেয়ারম্যান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.