মাসুদ রানা রাব্বানী: রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় দুইজন ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। একই সময় হামলাকারী ৪টি বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে।

গতকাল রোববার বিকাল ৫টার দিকে চারঘাট থানাধিন ইউসুফপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ওই সকল মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ইউসুফপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার সামাদের ছেলে জলিল (৪৫), আবুলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০) ও সুজন আলীর স্ত্রী আফরোজা (২৪)।

পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

আহদের মধ্যে, জলিলের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। মাজায় ও শরীরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে সুজনের স্ত্রী আফরোজাকে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা পিটিয়ে বুকের হাড় ভেঙ্গেছে শরিফুলের, ধারালো অস্ত্রের কোপে হাত পা ও মাথা রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনায় আহত শরিফুলের শরীরে ১৬টি সেলাই দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্থানীয় সুজন আলী বলেন, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) চাঁদ রাতের দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী ১৪৫০ বোতল ফেন্সিডিলের একটি চালান ভারত থেকে নিয়ে আসে। ওই সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে মাদক ব্যবসায়ীরা ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা ও সাধারন জনতা ফেলে যাওয়া ফেন্সিডিলগুলো কুড়িয়ে পান করে। এছাড়াও অনেক পথচারী ও রাজশাহী শহর থেকে ফেন্সিডিল সেবন করতে আসা যুবকরাও ৪/৫টি করে ফেন্সিডিল পান করেছে। সবমিলে ফেন্সিডিলগুলি হরিলুট হয়ে যায়।
মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: ইউসুফপুর কান্দি পাড়া গ্রামের লাবনের ছেলে লালন, শরিফের ছেলে আরিফ, শরিফের ছেলে আগুন, আইনুলের ছেলে মান্না, আফাজ মন্ডলের ছেলে জিলহাজ, মজিবরের ছেলে মনজু, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সোর্স মোজাম্মেলরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউসুফপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে রিংকু, মাইনুল, এনামুলও সুজন আলীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় সুজন আলীর স্ত্রী আফরোজাকে পিটিয়ে আহত করে এবং বসত ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৮৬ হাজার ৭’শত টাকা নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও সাড়ে ১২মাস বয়সি সুজনের অসুস্থ শিশু কন্যার ওষুধ কেড়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা।

সুজন অভিযোগ করে বলেন, এত কিছুর পরও চারঘাট থানায় মামলা করতে গেলে আহতদের মামলা নেয়নি চারঘাট থানার ডিউটি অফিসার। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়ানোর পরও কাউকে আটক করেনি পুলিশ।

জানতে চাইলে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডু জানান, ব্যস্তার কারনে মামলা নেয়া হয়নি। তবে অভিযোগকারীরা থানায় আসলে মামলা নেয়া হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ৩ আগস্ট, ২০২০