শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে এখন প্রতিমণ আমের মুল্য ১০ হাজার টাকা

রাজশাহীতে এখন প্রতিমণ আমের মুল্য ১০ হাজার টাকা

রাজশাহীতে এখন প্রতিমণ আমের মুল্য ১০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাজার থেকে বিদায় নেবে সব জাতের আম। এরইমধ্যে স্বাদের আমের দামে লেগেছে আগুন। ঈদের আগেও যে আম প্রতিমণ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেই আম বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়!

আসমান-জমিন তফাৎ এসেছে আমের দামে। তাই রাজশাহীর আম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

মাঝেমধ্যে আত্মীয়-স্বজনকে পাঠানোর জন্য যারা আমের আড়তে যাচ্ছেন, দাম শুনে তাদের চোখ কপালে উঠছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্ষার শেষে ফুরিয়ে আসছে আমের সরবরাহ। তাছাড়া বাজারে আমের সরবরাহ কম থাকায় দামও বেশি। আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তারপর বাজারে এক এক করে বিদায় নেবে সব জাতের আম। এজন্য বাড়তি দাম নেওয়া ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।

আগামী ১৫ আগস্টের পর থেকে বাজারে কেবল থাকবে আশ্বিনা জাতের আম। তবে স্বাদে টক ও আঁশ বেশি থাকায় সাধারণত এই আম সেভাবে খেতে চায় না মানুষ। সারা বছরের জন্য আচার, মোরব্বা ও জুস তৈরির কাজে বেশি ব্যবহার হয় আশ্বিনা আম। তাই শেষ মুহূর্তে হু হু করে বাড়ছে রাজশাহীর সুস্বাদু সকল জাতের আমের দাম।

কোনো বাজারেই দামের তারতম্য নেই! মহানগরের শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, শিরোই কাঁচাবাজার, শালবাগান, নওদাপাড়া, সাহেব বাজার, স্বর্ণকারপট্টি, লক্ষ্মীপুর বাজার ও কোর্টচত্বর- অবস্থানভেদে সব জায়গায় একই দাম। শেষ শ্রাবণে রাজশাহীর বাজারে এখন কেবল চার জাতের আম মিলছে। এর মধ্যে রয়েছে- মিষ্টি ও রসালো আম ফজলি (মহারাজ), বারি-৪, আম রুপালি ও আশ্বিনা জাতের আম। তবে দাম বেজায় চড়া। শেষ সময়ে আমের পাইকারি ও খুচরা দামের ব্যবধানও কমে এসেছে।

মহানগীর সাহেব বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী জসি এন্টারপ্রাইজের তৌফিক ইমাম কোয়েল বলেন, আর মাত্র এক সপ্তাহ, বেশি হলে দুই সপ্তাহ পাওয়া যাবে এসব আম। তার পর থেকে কেবল থাকবে আশ্বিনা জাতের আম। আর কিছু পরিমাণ ফজলি পাওয়া যাবে। তবে ওই ফজলি (মহারাজ) আমগুলো পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আনা হবে।

কারণ রাজশাহীর অনেক পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগান থেকে আম নামানো হয়। তাই রাজশাহীর আম শেষ হয়ে গেলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম পাওয়া যায়। ওই জেলার আম দেরিতে ওঠে এবং দেরিতে শেষ হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম আড়তদার সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, রাজশাহীর বাজারের চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দাম কিছুটা কম। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ ও কানসাটসহ এলাকার হাটে ফজলি আম ১০ হাজার টাকা মণ, বারি-৪ আম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং আশ্বিনা জাতের আম ২ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনো ফজলি আম গাছে আছে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে এই আমের দাম আরও বাড়বে।

এদিকে, রাজশাহী মহানগীর আম ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মিনার বলেন, শালবাগান বাজারে ফজলি আম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ, বারি-৪ জাতের আম ১০ হাজার টাকা মণ, আম রুপালি আম ৯ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা মণ এবং আশ্বিনা জাতের আম ৪ হাজার ৪শ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আমের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। আজ যে দাম কাল তার চেয়ে ১শ থেকে ২শ টাকা বেশি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, জেলায় ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আর এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া অপরিপক্ব আম নামানো ঠেকাতে এবারও সময় বেঁধে দিয়েছিল রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী গত ১৫ মে থেকে গুটি আম, ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা এবং ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম রুপালি, ১৫ জুন থেকে বিভিন্ন জাতের ফজলি আম নামানোর সময় শুরু হয়।

সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামার কথা ছিল আশ্বিনা ও বারী আম-৪ জাতের আম। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এবার বেঁধে দেওয়া সময়েরও অনেক পরে রাজশাহীর প্রতিটি বাগান থেকে আম নেমেছে। যে কারণে প্রতিবছর জুলাইয়ের শেষে আম ফুরিয়ে গেলেও এবার আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহীর বাজারে আম মিলবে বলেও উল্লেখ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১২ আগষ্ট ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply