শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতার ঘাতকদের নাগাল পায়নি সিআইডি

রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতার ঘাতকদের নাগাল পায়নি সিআইডি

রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতার ঘাতকদের নাগাল পায়নি সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তদন্তভার নেয়ার সাত মাসেও রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর কৌশিক হত্যা মামলার তিন আসামির নাগাল পায়নি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দীর্ঘ সময়ে সিআইডি মামলার অভিযোগপত্রও দিতে পারেনি। ফলে মামলার বিচার শুরু হয়নি। এতে নিহতের স্বজনদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

নিহত কৌশিক প্রামানিক মিঠু বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবুর বড় ভাই। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি নগরীর মতিহার থানার ধরমপুর আমজাদের মোড় এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় দেবাশিষ প্রামানিক দেবু বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

এতে চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ঘটনার পরই পুলিশ শুধুমাত্র মো. রায়হান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তবে প্রধান আসামিসহ অন্যরা এখনও পলাতক। মামলার প্রধান আসামির নাম সজিবুল হক সজিব। নগরীর ধরমপুর এলাকায় তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত আমিন। এজাহারভুক্ত অন্য তিন আসামির বাড়িও মতিহার থানা এলাকায়। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির দ্রুত তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মধ্যেই সিআইডি স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার কোন অগ্রগতি নেই।

অথচ স্থানীয় লোকজন বলছেন, গত ঈদুল ফিতরের দিন মামলার প্রধান আসামি সজিবকে এলাকায় দেখা গেছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে সে আবার পালিয়ে গেছে। তবে মাঝে মাঝেই তাকে এলাকায় দেখা যায়। তারপরও সিআইডি এজাহারভুক্ত এই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার বাদী দেবাশিষ প্রামানিক দেবু বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে সিআইডি সবচেয়ে এগিয়ে। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে। কিন্তু সাত মাসেও তারা একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সিআইডি মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল করছে না। অথচ আসামিরা পলাতক থাকলেও অভিযোগপত্র দাখিল হয়।

দেবাশিষ প্রামানিক দেবু অভিযোগ করেন, মামলাটি নিয়ে তদন্ত সংস্থা যথেষ্ট গাফিলতি করছে। তাই তিনি ভাই হত্যার বিচার পাবেন কি না তা নিয়েই এখন সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি দ্রুত মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য দুইজনকেও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একইসঙ্গে দ্রুত যেন আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় সেই দাবিও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৩ আগষ্ট ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply