মতিহার বার্তা ডেস্ক: সিলেটে রাতের আঁধারে পথচারীদের তুলে নেয়া, তারপর আটকে রেখে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ। আর এসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছিল একটি চক্র। এমন একটি চক্রের দুই সদস্যকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ছবি তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বাবুল নামের এক ব্যক্তি।
গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষের নগ্নছবি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হল- গোলাপগঞ্জের রনকেলী উত্তর গ্রামের তবারক আলীর পুত্র নাইম আহমেদ (২৮), ঘোগারকুল পশ্চিমপাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র ওয়াহিদ (২২)। মামলার অপর দুই আসামি একই গ্রামের মঈন আলীর পুত্র মামুন আহমদ (২০) এবং আব্দুল গাফফারের পুত্র উজ্জল (২০) এখনও পলাতক রয়েছে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলম যুগান্তরকে জানান, সিলেটের কদমতলী এলাকার এক ব্যবসায়ীকে ১০ জুলাই রাতে কদমতলী থেকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয় আসামিরা। পরে তাকে গোলাপগঞ্জ সদরের ভাই ভাই বিল্ডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে ২ দিন আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি তাকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। ১৩ জুলাই ভিকটিমের ছোট ভাই ৫০ হাজার টাকা গোলাপগঞ্জের একটি দোকানের সামনে গিয়ে আসামিদের হাতে তুলে দেয়।
এরপরই আসামি ওয়াহিদ মোটরসাইকেলে করে তাকে গোলাপগঞ্জ বাজারে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করার পর র্যাবকে বিষয়টি জানানো হলে র্যাব সদস্যরা রাতেই অভিযানে নামে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে নাইম ও ওয়াহিদকে হেতিমগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করেন তারা। গ্রেফতারের পর ২ জনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষের বিবস্ত্র ছবি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, বেশ কিছুদিন ধরে তারা গভীর রাতে পথচারীদের এভাবে অপহরণ করে। পরে তাদের বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতারকৃতদের দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বাকি ২ আসামি ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। সুত্র: যুগান্তর
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৪ আগষ্ট ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.