শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর চারঘাটে রমরমা কোচিং বাণিজ্য, করোনা ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থী

রাজশাহীর চারঘাটে রমরমা কোচিং বাণিজ্য, করোনা ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থী

রাজশাহীর চারঘাটে রমরমা কোচিং বাণিজ্য, করোনা ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থী

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কোচিং এর প্রভাবটা অনেকাংশে বেশি। উপজেলা শিক্ষা ও নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টান্ত মূলক কোন পদক্ষেপ নেই। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা করোনার ঝুঁকিতে।

করোনার ভয়াবহতার বৃদ্ধি হওয়ার পূর্ব সময় থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক দেশের সকল জেলা ও উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়। নিজ নিজ এলাকর শিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী তাদের কর্মস্থলের সার্বিক বিষয়ে তদারকি করারও নির্দেশনা রয়েছে।

উপজেলার শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কোন কমতি না থাকলেও সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত কোচিং সেন্টার তাদের গতিতেই চলছে। বর্তমান করোন ভয়াবহতা ক্রমশয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সময় অর্থ লোভি বিদ্যা বিক্রয় ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে এক শ্রেনীর শিক্ষক ও কোচিং পরিচালক।

রোববার সকাল ৬টার সময় তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কোচিং বানিজ্য। চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলো প্রশাসনের আড়ালে কৌশলে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে এবং সারদা বা চারঘাট বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিদ্যা বিক্রয় চলমান রেখেছে। শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজ এবং সামাজিক দূরত্ব কোনটাই মানছেন তারা।

ইতোপূর্বে সকল কোচিং সেন্টারের পরিচালক এবং প্রাইভেট শিক্ষকদের মুঠো ফোনের মাধ্যমে করোনাকালে সকল ধরনের শিক্ষা বানিজ্য বন্ধের করার জন্য বলেছেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াছমিন। এরপর থেকেই ওই কোচং সেন্টার গুলো খন্ড খন্ড করে প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে কোচিং বানিজ্য অব্যহত রেখেছে। কিন্ত শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।

রাজা যদি তার সিংহাসন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তাহলে মাঠ পর্যয়ের জনতার খবর নিবে কে। একটি নিদৃষ্ট রুটিন মাফিক উপজেলার কিছু কর্মসূচীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা গেলেও বেশির ভাগ সময় তারা নিজেই সুরক্ষা কবজে থাকেন। অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন যা মুখস্ত একটি প্রবাদ। প্রকৃত অর্থে বাস্তবতার রূপরেখা অন্যরকম। এমনটাই বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরীকবৃন্দ।

এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা) বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ্য কোচিং সেন্টার গুলোকে কঠর নির্দেশনা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে কোন শিক্ষক বা কোচিং সেন্টারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৩-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply