শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

রাজশাহীর চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

রাজশাহীর চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার রাওথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা হলো মাহাবুর রহমানের ছেলে মাহিম (৭) ও শফিকুল হকের একমাত্র ছেলে রাহুল (৫)। তারা দুজনেই উপজেলার রাওথা এলাকার বাসিন্দা।

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যূর খবরে পুরো রাওথায় চলছে শোকের মাতম।

নিহত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান জানান, নিহত মাহিমের শাপলা তোলার এক ধরনের নেশা ছিলো। প্রতিদিনই বাড়ীর লোকজনের চোখ ফাকি দিয়ে সে বিভিন্ন পুকুরে শাপলা তুলতো। সোমবার দুপুরের দিকে হঠাত করেই মাহিমকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাহিমের সঙ্গে প্রতিবেশী শফিকুলের ছেলে রাহুলও নেই।

পরে অনেক খোঁজা-খুঁজির পরে জনৈক রেজাউল হক নামের এক ব্যাক্তি জানান, তাদের দুই শিশুকে স্থানীয় নবীর উদ্দিনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এলাকাবাসীর সহাতায় শুরু হয় পানিতে খোঁজা-খুঁজি।

এক পর্যায়ে নবীর উদ্দিনের পুকুর থেকে মাহিম ও রাহুলের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষনা করেন।

এ দিকে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। এক মাত্র ছেলে রাহুলকে হারিয়ে মা জয়নব বেগম বার বার মৃর্ছা যাচ্ছেন। তাকে বোঝানো যেন কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না আত্মীয় স্বজনদের।

অপর দিকে নিহত মাহিমের নানা জিয়াউর রহমান বলেন, নিহত মাহিমের পিতার বাড়ী পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকায়। ছোট থেকেই মাহিম আমার কাছে রয়েছে। তার পিতা মাতাকে আমি কি জবাব দেবো? এভাবেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নানা জিয়াউর।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তজলুল হক বলেন, একই সঙ্গে একই এলাকার দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার ছাড়াও এলাকাবাসীর মাঝেও দুঃখ ছড়িয়ে পড়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৪-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply