শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
কোরআন পড়া অবস্থায় আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করল তারা

কোরআন পড়া অবস্থায় আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করল তারা

কোরআন পড়া অবস্থায় আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করল তারা

মতিহার বার্তা ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নড়াইল সদর উপজেলার রাজ্জাক মল্লিক (৭৫) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়নি। সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর জায়নামাজে বসে কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় তাকে মল্লিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাজ্জাক মল্লিক সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাজ্জাক মল্লিক সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পূর্বপাশের ঘরে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি জায়নামাজে বসে কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

রাজ্জাক মল্লিকের ছেলে রফিকুল বলেন, আমাদের এখানে তিন গ্রাম নিয়ে দলাদলি আছে। আমার বাবা এলাকার মুরব্বি হওয়ায় তার কথা একপক্ষের লোকজন শুনতেন। সেই কারণে এলাকায় একটি হত্যা ঘটনায় আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অপরপক্ষ। পরে ওই হত্যা মামলায় আমাদেরও আসামি করা হয়। তারাই আমার বাবাকে হত্যা করেছে। বাবা তখন কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। ওই অবস্থায় জায়নামাজে তাকে খুন করা হয়। আমার ছোট ছেলে কয়েকজনকে দেখেছে এবং চিনেছে। এখন কারও নাম বলব না। মামলার এজাহারে সবার নাম উল্লেখ করব।

রাজ্জাক মল্লিকের স্ত্রী হাসনাহেনা বলেন, আমার স্বামী নামাজ পড়ার পর প্রতিদিন কোরআন শরিফ পড়েন। সোমবার সন্ধ্যায় কোরআন শরিফ পড়াকালে তার গলা শুকিয়ে যায়। আমি তার জন্য প্রতিবেশী গিয়াসের বাড়ি থেকে পানি আনতে যাই। কিছুক্ষণ পরই আমার নাতি (৬) দৌড়ে এসে আমাকে বলে দাদাকে ওরা কুপিয়ে মারতেছে। আমি চিৎকার দিয়ে ঘরে এসে দেখি সব শেষ।

হাসনাহেনা আরও বলেন, গ্রামে দলাদলির কারণে আমার দুই ছেলে বাড়িছাড়া। গ্রামে একটা খুনের পর আমার বাড়িঘর ভেঙে ফেলেছে, ছেলেদের নামে মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় আমার স্বামীকে কুপিয়ে মারল তারা। তারাই আমাদের প্রতিপক্ষ।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামালপ্রতাপ গ্রামের রশিদ মল্লিকের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমদাগ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলেসহ তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। তদন্তের আগে কিছু বলা যাবে না।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৬-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply