শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর টাংগন মাদক পল্লিতে প্রবেশ করলেই পুলিশকে দিতে হচ্ছে টাকা

রাজশাহীর টাংগন মাদক পল্লিতে প্রবেশ করলেই পুলিশকে দিতে হচ্ছে টাকা

রাজশাহীর টাংগন মাদক পল্লিতে প্রবেশ করলেই পুলিশকে দিতে হচ্ছে টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টা। রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী থানাথিন পাক ইসলামপুর গ্রামে ১০টি মোটসাইকেল ও একটি অটোরিক্সা থামিয়ে তল্লাশী চালাচ্ছেন এএসআই নূর-মোহাম্মদ ও সঙ্গীয় ফোর্স। একে একে সকলের তল্লাশী শেষ।

এরপর প্রশ্ন ও উত্তরের পালা। টাংগন ও ইউসুফপুর গামী যুবকদের কাছে প্রশ্ন হলো: কোথায় যাবেন ? কি জন্য যাবেন ? মোটর সাইকেলে তিনজন কেন ? গাড়ির কাগজপত্র দেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও দারোগা বাবুর শেষ কথা হলো এদিকে যাওয়া যাবে না। আর যারা ওই দিক থেকে কাঠাখালি হয়ে শহরের দিক থেকে আসছেন, তাদের কাছে কোন প্রশ্ন নাই গাড়িতে উঠেন। তবে মাথা পিছু ২০০ থেকে ৩০০টাকা দিলেই ছাড়।

পুলিশের চেকপোষ্ট থেকে ছাড়া পাওয়া, নগরীর হাদির মোড় এলাকার আশিক (২৬) নামের এক যুবক জানান, অটো যোগে ৬ জন বন্ধু মিলে ইউসুফপুরে যাবো। দেখলেন তো পুলিশ আটকালো। কোন ভাবেই যেতে দেবে না, দাবি ৫০০ টাকার। শেষ পর্যন্ত ২০০ টাকা দিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলাম। মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ার বর্ডার ক্রস করছি। আর এ জন্যই বর্ডার ক্রস করতে টিকিটের জন্য ২০০টাকা দিতে হলো পুলিশকে। তবে আসার সময় বিপদে পড়বো না অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে আসবো বলেও জানায় ওই যুবক ।

অপর এক মোটরসাইকেল আরোহী রিমনসহ ৩জন যুবক জানালেন, টাংগনে গেছিলাম। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসলাম। পুলিশ এখানে আছে জানলে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতাম। ধরা খেয়ে গেছিলাম। তাই তিনজন বন্ধ মিলে ৩০০ টাকা দিয়ে ছাড় পেলাম। নাহলে দারোগা থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।

এই হচ্ছে কাটাখালী থানার শুক্রবারের মাদক বিরোধি অভিযান। যারা মাদক সেবন করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতেন পুলিশ। কিন্ত সেটা না করে টাকা নিয়েই খালাস। আর যারা যাচ্ছে তাদের পিছু নিয়ে মাদক স্পটে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ ধরতেও পারে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের কঠোরতা যদি ২০০ থেকে ৩০০টাকার মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে তাহলে না কমবে মাদক সেবি, না কমবে ব্যবসায়ী। এক কথায় গাছ ঠিক রেখে ফল খাওয়া। নিত্যদিনের অভিযান হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের। এমনি বক্তব্য স্থানীয়দের।

এ সকল লোক লোকদেখানো অভিযানে হতাশ আর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নগরীজুড়ে সচেতন মহলের মধ্যে।

এ বিষয়ে এএসআই নূর-মোহাম্মদের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

জানতে চাইলে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, এই ধরনের অভিযোগ দির্ঘদিন ধরে পাচ্ছি। তবে কাউকে হাতে নাতে পাচ্ছিনা।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকদির আমি রোল কলে সতর্ক করি এইধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য। কঠোর ভাবে বলা আছে তারপরও এইরকম কর্মকান্ড থেমে নেই শুনেছি। দ্রুত অপকর্ম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান ওসি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৮ আগষ্ট ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply