অনলাইন ডেস্ক: আগ্রাসন দেখিয়েও পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে চিনা সেনা। চিনা সেনার গতিবিধি আগাম আঁচ করে ফেলেই এলাকা দখল রুখতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। এমনই দাবি এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের। সূত্রের খবর, প্যাংগং লেকের দক্ষিণে এক উঁচু এলাকায় আগেই দখল করে রেখেছিল ভারতীয় সেনা।
এই ফলেই চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা পেয়ে যায় তারা। দক্ষিণ প্যাংগং আপাতত ভারতীয় দখলে বলে দাবি করা হয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। চিনা আগ্রাসন রুখতেই কৌশলগত এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে ভারতীয় সেনা সূত্রে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতের ঘটনার পর গতকাল ও আজও দু’দেশের সেনা অফিসার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
আরও জানা গেছে, শনিবার রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশে শতাধিক সেনার সামরিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। এলাকা দখলের উদ্দেশেই আচমকা এই আগ্রাসন বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে ভারতীয় সেনার অবস্থানগত সুবিধার ফলে তা ব্য়র্থ হয়। ঘটনার পর ভারতের বিরুদ্ধেই সীমান্তে আগ্রাসন দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বেজিং।
আজ চিনা দূতাবাসের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, ‘ভারতের পদক্ষেপ চিনের সার্বভৌমত্বে আঘাত এনেছে।’ আরও বলা হয়েছে যে ভারতীয় বাহিনী দু’দেশের শান্তি পরিস্থিতিকে নষ্ট করেছে।
গত জুনে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দু’দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা মৃত্যু হয়। ভারতীয় তরফে কর্নেল-সহ ২০ জন এবং চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহত বলে জানা যায়। ভারতের দাবি ছিল, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না-মানার ফলেই লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিনের অবশ্য পাল্টা দাবি ছিল, ১৫ জুনের রাতের গোটা ঘটনার পিছনে ভারতের প্ররোচনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মে থেকে লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনার সূত্রপাত। দারবুক থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটি পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে ভারত যে রাস্তা তৈরি করছে, মূলত তা নিয়েই আপত্তি চিনের।
এদিকে, শনিবার রাতের ঘটনার পর ফের লাদাখ সীমান্তে বিমান মহড়া শুরু করেছে দু’দেশ। যার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চিন সীমান্ত।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.