নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শুনানি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানি করবে ইউজিসি।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় মঞ্জুরী কমিশনের মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ইউজিসির জেনারেল সার্ভিসেস অ্যান্ড এস্টেট ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগির স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে শুনানির বিষয়টি জানা গেছে। সেখানে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
শুনানির দিন অভিযোগের দলিলপত্রসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়া, এডহক ও মাস্টাররোলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কমিশন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অভিযোগপত্র দাখিল করেন শিক্ষকদের একাংশ। এতে তাদের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিবেদন তৈরি ও দাখিলের আগে থেকেও উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ‘দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান।
শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ইউজিসি গণশুনানিতে উভয়পক্ষকে ডেকেছে। সেখানে একটি ত্রিপক্ষীয় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যারা অভিযোগ দিয়েছিলাম, তাদের পক্ষ থেকে তিনজনকে সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম ও ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর চিঠি পেয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনজনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.