শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হলে থামছে না চুরি!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হলে থামছে না চুরি!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হলে থামছে না চুরি!

রাবি প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোও। এই বন্ধকালীন সময়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হলের এক শিক্ষার্থীর তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে চুরির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান ওই হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক পার্থ বিপ্লব রায়কে অভিযোগ করে।

জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস পর হলে এসে দেখি রুমের ভেতরে সব এলোমেলো। ট্রাংক ভাঙ্গা, ব্যাগ, টেবিলে থাকা জিনিসপত্র এলোমেলো। আমার তেমন মূলবান কিছু না থাকায় ঘর থেকে শুধু টেবিল ঘড়িটা নিয়ে গেছে। রুমে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদেরও চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছি।
তিনি আরো বলেন, রুমে তালা থাকা সত্ত্বেও চুরির ঘটনা ঘটছে। হলে থাকা প্রহরীরা থেকেও নেই। হল প্রশাসন নিশ্চুপ! প্রশাসন শুধু সান্ত্বনাই দিয়ে যাচ্ছে।

এঘটনায় জানতে চাইলে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক পার্থ বিপ্লব রায় বলেন, আমাদের এই হল অন্যান্য হলগুলো থেকে আলাদা। হলটি অনেক পুরাতন এবং নিরাপত্তা কম। হলের চারদিকের প্রাচীর টপকিয়ে যে কেউ খুব সহজেই হলে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও হলে প্রহরীর ভুমিকা অনেক। তারা হয়তো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ইতোমধ্যে আমি হলে দায়িত্বরত প্রহরীর সংখ্যা বাড়িয়েছি এবং তাদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করে সতর্ক করেছি। আশা করি এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এরপর আর হবে না।

শুধু শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হলই নয়, এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাদার বখশ্ হলেও চুরির ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা ব্যতীত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

হলে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, হলে চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর আগে হল প্রাধ্যক্ষদের হলে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছিলাম। আগামীকাল হলের প্রধ্যক্ষদের ডেকে হলে যেন আর চুরির ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব এবং হলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করবো।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply