নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন খরবোনা এলাকায় জুয়ার রমরমা আসর চালাচ্ছে লুকু ও কালু। গত প্রায় ২ বছরের বেশি সময় ধরে এই জুয়ার আসরটি চালিয়ে আসছে তারা।
এ নিয়ে পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। অভিযান চালায় লুকু ও কালুর জুয়ার আসরে। আটক করে ১৩ জন জুয়াড়ীকে। সেই থেকে জুয়ার আসরটি বন্ধ ছিলো।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ্ ধরে আবারও চালু করেছে জুয়ার আসর। তবে এবার কৌশল পরিবর্তন করেছে লুকু-কালু। সকাল থেকে জুয়া আসর চালাচ্ছে, আর বন্ধ করে দিচ্ছে সন্ধা সাড়ে ৭টার মধ্যেই ।
প্রভাবশালী লুকু এবং কালু দুই পার্টনানের নিয়ন্ত্রনে চলছে এই জুয়ার আসর।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক স্থানীয়রা বলেন, জুয়ার আসর চালানোর জন্য বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে তারা। পরে নিজেরা কৌশল পরিবর্তন করে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চালাচ্ছে জুয়ার আসর। লুকু ও কালু প্রকাশ্যে বলছে পুলিশকে টাকা দেবো না। জুয়াড়ী ধরলে কোর্টে থেকে জামিন করাবো।
আর পুলিশের কাছে যে টাকা খরচ হবে, সেই টাকা দিয়ে চারিদিকে লোকজন পাহারা রেখে খেলা চালাবো। বর্তমানে করছেও তাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়ার আসরে গিয়ে শতশত পরিবার সর্বশান্ত হলেও লুকু এবং কালু’র হয় পকেট ভর্তি হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ্ নাই । স্থানীয় কারো এমন বুকের পাটা নাই যে, প্রকাশ্যে লুকু ও কালুর কথা বলে। যদি কেউ মুখ ফসকে বলে তাহলেই তার উপর চলে নির্যাতন। এই রকম নজির আছে বলেও জানায় স্থানীয়রা। তারা দুই পার্টনার প্রকাশ্যে বলে, জুয়ার বোর্ডের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জিনিষ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবো।
তারা আরো বলেন, এই জুয়ার আসরটি একটু উন্নত ও ব্যতিক্রম। তারা জুয়াড়িদের ধরে রাখতে সেখানে সকল প্রকার ব্যবস্থা রাখে। যেমন, চাহিদা মতো যার যে রকম নেশা প্রয়োজন জুয়ার আসরে অর্ডার করলেই তা দ্রুত পেয়ে যায়। যাকে বলে ক্যাসিনো স্টাইল ।
মোবাইল হাতে লুকু ও কালু দৈনিক মুজুরিতে রাখা পাহারাদারগণ পুলিশের উপর নজরদারী রাখতে শহররক্ষা বাঁধের উপর ও এলাকায় প্রবেশ মুখ গুলোতে মোবাইল হাতে পাহারায় থাকে। পুলিশ বাঁধের উপর পা দিলেই খবর চলে যায়, আসরের সর্দারদের কাছে। সাথে সাথে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যায় জুয়াড়ীরা।
তবে ঘটনা যাইহোক এই ক্যসিনো বন্ধের দাবি স্থানীয়দের। শতশত পরিবার রক্ষায় এই অপকর্ম বন্ধর দাবি এখন স্থানীয়দের।
এছাড়াও বোয়ালিয়া থানাধিন স্টেডিয়াম মার্কেটের ছাদে জুয়ার আসর চালাচ্ছে তারেক। উপ-শহর নিউমার্কেটের পেছেনে একটি পার্টি অফিসে জুয়ার আসর চালাচ্ছে জনৈক খাড়া শামীম নামের এক নেতা। শাহমখদুম থানাধিন নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনালের ভেতরে জুয়ার রমরমা আসর চালাচ্ছে নেতা শাহীন। রাজপাড়া থানাধিন অচিনতলা এলাকায় পিন্টু।
এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, আবার জুয়ার আসর চালু করার বিষটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা ড়গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আরএমপি’র মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত নই। তবে অভিযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় বলছি। তিনি আরো বলেন, আরএমপিতে কোন প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড হতে দেয়া যাবে না।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.