শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে হকার নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলো সাজেন্ট সনেট

রাজশাহীতে হকার নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলো সাজেন্ট সনেট

রাজশাহীতে হকার নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলো সাজেন্ট সনেট
রাজশাহীতে হকার নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলো সাজেন্ট সনেট

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্টে ইমদাদুল হক মিলন (৩৩) নামের এক হকার শ্রমিক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে পুলিশ সাজেন্ট সনেট।  তিনি হকার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারন সম্পাদক। তার বাড়ি নগরীর মতিহার থানাধিন কাজলা ফুলতলা এলাকায়। তার পিতার নাম মো. ফারুক হোসেন।

সোমবার বিকাল সাড়ে চার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মিলন জানায়, সে এক বেলা পত্রিকা বিক্রির কাজ করেন। আর এক বেলা অটো চালান। গতকাল সোমবার বিকেলে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ভাড়া তোলার উদ্দেশ্যে অটো নিয়ে দাঁড়ান। এ সময় ট্রাফিক এসে মিলনের অটোর গদি খুলে নিয়ে উল্টা দিকে যেতে থাকেন। বিষয়টি মিলনের নজরে আসলে সে অটো থেকে নেমে দৌঁড়ে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চান।  বলেন, স্যার ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করে দেন। এই স্থানে আর কখনই গাড়ি দাঁড় করাবো না।  ওই সময় সার্জেন্ট সনেট আসলে তাকেও একই ভাবে মিনতি করেন মিলন। কিন্তু ব্যচারা মিলনের ধারনাই ছিলোনা সবাই মাফ করতে জানেনা। মাফ করা তো দুরের কথা তাকে লাঠি দ্বারা পেটোতে শুরু করেন সার্জেন্ট সনেট। এতে মিলনের বাম পায়ের গোড়ালিতে লাঠির আঘাতে ফুলে যায়। এক পর্যায়ে সাধারন জনতার ভিড় জমে যায় জিরো পয়েন্টে। ছেড়ে দেয়া হয় মিলনকে।

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে যান মিলন।  জিরো পয়েন্টে থাকা প্রত্যাক্ষদর্শী কামাল নামের এক পথচারী বলেন, ছেলেটা না হয় থেমে ভুলই করেছে। কিন্তু শতশত মানুষের মধ্যে এইভাবে পেটানো ঠিক হয়নি। প্রয়োজন হলে সার্জেন্ট মামলা দিতেন।

প্রত্যাক্ষদর্শী নবাব নামের একজন অটো চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে চুপ করে ৫০টাকা ধরিয়ে দিলেই তো কাহিনী শেষ হয়ে যেত। মার খেতে হতো না।

জরুরী বিভাগে ভুক্তভোগী মিলনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লাঠির আঘাতে বাম পায়ের গোড়ালি ফুলে গেছে। যন্ত্রনা হচ্ছে। ডাক্তার ওষুধ লিখেছেন। এরই মধ্যে মুঠো ফোনে সাজেন্ট সনেট স্যার ফোন করেছেন। বলছেন বিষয়টি যেন কাউকে না বলি। তবে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান মিলন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপি‘র মুখপাত্র রুহুল কুদ্দস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে।  তিনি আরও বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

রাজশাহীর সময় ডট কম –২১ সেপ্টেম্বর২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply