শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

অনলাইন ডেস্ক: ২০১৭-১৮ সালে ‘পেপসিকে’ ‘কোক’ বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছিল গরু পাচারকারী সিন্ডিকেটের মাথা তথা হাওলা ট্রেডার্স এনামুল হক। লাভের সেই টাকা থেকে মোটা টাকা বখরা পেতেন বিএসএফের কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার-সহ বেশ কিছু বিএসএফ কর্মকর্তারা । তারা প্রত্যেকেই এখন সিবিআই-এর নজরে।

জানা গিয়েছে, সেই সময় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু বাংলাদেশে যেত। বিএসএফ ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নির্দিষ্ট সময়ে লাইন মারফত সীমান্তহীন করে দেওয়া হতো গরু গুলিকে।

আর সেই সুযোগ নিয়েই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাখের আলী, মাসুদপুর এই বিট খাটাল গুলি থেকে গঙ্গানদী পার করে মালদহের বৈষ্ণবনগর ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দিয়ে গরু পাঠানো হতো বাংলাদেশে। লোক দেখানোর জন্য কিছু গরু আটক করতো বিএসএফ। পরে সেগুলি কাস্টমসের মারফত নিলাম করা হতো।

পাচারকারীদের কোড অনুযায়ী বড় গরু গুলিকে বলা হত ‘কোকাকোলা’ ও ছোট গুরুকে বলা হতো ‘পেপসি’। বাজেয়াপ্ত গরু নিলামের সময় বড় গরুকে ‘ছোট গরু’ দেখিয়ে অর্থাৎ ‘কোকাকোলাকে’ ‘পেপসি’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো।

যার ফলে গরুর দাম কমে যেত এবং সেখান থেকেই প্রচুর টাকা রোজগার করত এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট। কারণ তারাই এই গরু গুলি নিলাম করতো। কিন্তু পরে ওই গ্রুপে আবার পাচার করা হতো। গরু প্রতি আড়াই হাজার টাকা পেত বিএসএফ ও কাস্টমস আধিকারিকরা। তার মধ্যে বিএসএফ পেতো ২০০০ টাকা ও কাস্টমস গরু প্রতি ৫০০ টাকা।

২০১৭-১৮ সাল নাগাদ বিএসএফ ওই এলাকায় প্রায় ২০ হাজার গরু আটক করে নিলাম করেছিল। তাহলেই বোঝা যায় কত টাকা লুটপাট হয়েছিল। বড় গরু গুলিকে কাগজে-কলমে ছোট গরু দেখানো হতো। কাস্টমসের কর্মকর্তাদের একাংশ এই কারবার করত। সিবিআইয়ের হাতে এই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে প্রচুর রাজস্ব ক্ষতি হয়েছিল ভারত সরকারের।

২০১৮ সাল নাগাদ কেরল থেকে জিবিইউডি ম্যাথু নামে এক কমান্ডকে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় এনামুল হক। এরপরে সীমান্তে পাচার অনেকটা কমে যায়। সেই সময় বিএসএফের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ব্যাটেলিয়ান পরিবর্তন হয়।

গ্রেফতার হওয়া কমান্ড্যান্টের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী আরেক কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার তার সঙ্গে এনামুলের পরিচয় করে দিয়েছিল। সেই সময় সতীশ কুমার বিএসএফের মালদহ সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। এভাবেই একদিকে চলতো গরু পাচার অন্যদিকে আটক হওয়া গরুকে কিনতো এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৪ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply