শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : মেম্বারসহ দুইজনের দায় স্বীকার

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : মেম্বারসহ দুইজনের দায় স্বীকার

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : মেম্বারসহ দুইজনের দায় স্বীকার

অনলাইন ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অন্যতম দুই আসামি।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন- উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ ও মো. আব্দুর রহিম।

তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আজমেদ জুয়েল।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রিমান্ড শেষে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।

এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের আদালত-১-এ জবানবন্দি দেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শোয়েব উদ্দিন খানের আদালত-২-এ আব্দুর রহিম জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

একই দিন বিকেলে এ ঘটনার অন্যতম আসামি আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হলো।

৪ সেপ্টেম্বর নারী নির্যাতনের দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ৬ অক্টোবর রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

বুধবার রাতে উপজেলার একলাশপুর থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ারের সহযোগী আবুল কালামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করে রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরই মধ্যে মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৮ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply