শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার দুলাভাই

শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার দুলাভাই

শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার দুলাভাই

অনলাইন ডেস্ক: নিজের স্ত্রীর সহোদরা বোনকে (১৯) ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে মুন্না খান (২৮) নামে এক সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ অক্টোবর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মুন্না সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে। সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে তাকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহসিনা হোসেন তুষি আগামী বুধবার রিমান্ডশুনানির তারিখ ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক মুন্না খানের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর জেলায়। গত ৭ অক্টোবর মুন্নার স্ত্রী সন্তান প্রসব করে। বোনের দেখাশোনা করার জন্য মুন্না তার বিবাহিত শ্যালিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু’দিন থাকার পর শ্যালিকা ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত দিয়ে আসবেন বলে রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের নিজ বাসায় রাজবল্লভপুরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি সকাল থেকে কয়েক দফায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন এবং কয়েকজনের সহযোগিতায় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

দুলাভাই মুন্না শ্যালিকাকে হুমকি দেন, ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। নিরুপায় হয়ে রোববার রাতে ওই নারী ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে মধ্যরাতে ধর্ষক মুন্নাকে শহরের হাসপাতাল রোড থেকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে লম্পট ভগ্নিপতি ও তার ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক ভগ্নিপতিকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৪ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply