বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের অর্জুনপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি ও বাঁশঝাড় দখল করে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাঁশ কেটে নেয়ার অভিযোগে মামলা করায় প্রতিপক্ষ স্বপন ও তার লোকজন মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর অর্জুনপাড়া গ্রামের মৃত কেরামতুল্লাহ’র ছেলে নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ইসমাইল খা’র ছেলে তোফাজ্জল হোসেন স্বপনসহ সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৩/১৫ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে প্রতিপক্ষ হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, অর্জুনপাড়া গ্রামের মৃত কেরামতুল্লাহ এর ছেলে নজরুল ইসলাম প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে অর্জুনপাড়া মৌজার বাঁশঝাড়সহ জমি পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোর পূর্বক শত শত বাঁশ কেটে নেয় ইসমাইল খা’র ছেলে তোফাজ্জল হোসেন স্বপন। মামলার বাদি নজরুল ইসলাম ও স্বাক্ষী খায়রুল আলম জানান, এর আগে থেকেই জমি দখলের জন্য ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে স্বপন। এসব ব্যাপারে যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও বাগমারা থানায় একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে নজরুল ইসলামের সঙ্গে আর কোন বিরোধ নাই মর্মে নজরুল ইসলামের ভুয়া স্বাক্ষর করে একটি আপোষনামা তৈরী করে বিভিন্ন জায়গায় তা দেখিয়ে জমি দখল অব্যাহত রাখেন প্রতিপক্ষ তোফাজ্জল হোসেন স্বপন।
এদিকে রাজশাহীর আদালতে মামলা দায়ের করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহনের পূর্বেই প্রতিপক্ষ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। মামলার স্বাক্ষী মুনছুর রহমান, খায়রুল আলমসহ অন্যরা জানান, পুলিশের কাছে আমরা যাতে স্বাক্ষ্য না দেই সেজন্য প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি পদর্শন ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তারা অর্জুনপাড়া বাজারে আমাদেরকে মারপিটের চেষ্টা চালায়। এছাড়াও বাঁশঝাড়ের সমস্ত বাঁশ কাটার পর প্রমাণ নষ্ট করার জন্য বাঁশের সমস্ত শেকড় তুলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে হয় স্বপন। মামলার তদন্তের আগেই তিনি সেখানে কোন বাঁশঝাড় ছিলনা প্রমান করার জন্য পরিবারের সদস্য ও বহিরাগতদের নিয়ে বাঁশের শেকড় তুলতে দেখা যায় স্বপন কে। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে আব্দুল মতিন জানান, তাদের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে তোফাজ্জল হোসেন স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার জমির বাঁশ আমি কেটেছি। জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার আছে।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, মামলার বিবাদিদের বিরুদ্ধে বাঁশঝাড় থেকে অনেক বাঁশ কাটার প্রমাণ প্রাথমিক ভাবে পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৯ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.