মঈন উদ্দীন : আয়াতী খাতুন ইমলা (১০ মাস)। শিশুটির দুরারোগ্য মিনিংগোসেল রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসা এই শিশুটির যন্ত্রণার সময় কাটে বিছানায়। তার কান্নার শব্দে কষ্ট পায় পুরো পরিবার। কিন্তু ব্যবস্থা হচ্ছে না তার চিকিৎসার। শিশু ইমলা রাজশাহী নগরীর বিলসিমলা বন্ধ গেট এলাকার জালাল খান গোলাপের সন্তান। মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা হলেই ইমলার শরীরে অস্ত্রোপচার সম্ভব। এই অস্ত্রোপচার হলেই নতুন জীবন ফিরে পাবে ইমলা। কিন্তু এই টাকা জোগাড়ের ক্ষমতা নেই তার অসহায় বাবার। টাকার অভাবে করানো যাচ্ছে না অস্ত্রোপচার। আর তাই ছোট্ট শরীরে বড় টিউমারের মতো মিনিংগোসেল নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে ইমলা।
মেয়েটির বাবা জালাল খান গোলাপ একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। তার সামান্য আয়ের টাকায় শিশু ইমলার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা অসম্ভব। ফলে চিকিৎসার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে এক দরজা থেকে আরেক দরজায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাবা জালাল খান। কিন্তু এখনো সাহায্যের হাত বাড়াননি কেউ। তাই শিশুটির জীবন নিয়ে কোন আশার আলো দেখছেন না তার বাবা।
ইমলার পরিবার জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জন্ম হয় ইমলার। কিন্তু আর দশটা শিশুর মতো সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেয়নি ইমলা। জন্মের পর দেখা যায়, শিশুটির কোমরের কাছে পেছন দিকে বড় আকারের একটি টিউমার। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানালেন, এটা দুরারোগ্য মিনিংগোসেল। এটি অপসারণে প্রয়োজন অস্ত্রোপচার। তবে এখনই নয়। শিশুটি কিছুটা বড় হওয়ার পর সেই অস্ত্রোপচার করা যাবে। ।
চিকিৎসকরা ইমলার অভিভাবকদের ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। শিশুটির বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ঢাকায় তার মেয়ের অস্ত্রোপচারে খরচ হবে সাড়ে তিন লাখ টাকা। এই টাকা তিনি জোগাড় করতে পারেননি। তাই মেয়েটিকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। অস্ত্রোপচার না করার কারণে গত ২৫ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফেটে যায় মিনিংগোসেল। শিশুটির বাবা মেয়েকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে এবার চিকিৎসকরা শিশুটিকে আর ভর্তি নেননি। তাকে আবারও ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে ঢাকায় নিতে পারেননি তার বাবা।
শিশু ইমলার বাবা জালাল খানের সঙ্গে ০১৭২০৩৫৮০০০ নম্বরের মোবাইলে যোগাযোগ করা যাবে। ফুটফুটে শিশু ইমলার জীবন বাঁচাতে এই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তাও করা যাবে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৯ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.