নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মাদকের ওজন কম দিয়ে মামলা দেয়ার কথা বলে ২২ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নগরীর শাহমখদুম থানার এসআই সোহেল, এএসআই মনির ও এএসআই মিনারুলের বিরুদ্ধে।
এছাড়া মূল মাদক ব্যবসায়ী আব্বাশ আলীকে (৩০) পলাতক দেখিয়ে খদ্দের আবদুল আওয়াল (২৮) কে মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে আব্দুল আওয়ালকে বলে জানা গেছে। তবে আব্বাশ একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে।
গত শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে শাহমখদুম থানাধীন টিকোর নতুন ফুতকি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বলেন, শনিবার বিকালে টিকোর ফুতকি পাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে এসআই সোহেল, এএসআই মনির ও এএসআই মিনারুল, আব্দুল আওয়ালকে খালি হাতে ধরে নিয়ে যায় আব্বাশের বাসায়।
এসময় আব্বাশের বাসায় তালা দেয়া ছিলো। পরে আব্বাশের বোন জামাই মো: রিপনকে ডেকে তালা ভেঙ্গ ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। রিপন জানায়, পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করলেও কোনো ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেয়নি তারা। পরে গোয়োল ঘরের মাটি খুড়ে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্বাশের মা জানায়, ঘটনাস্থল ২ ঘন্টা সময় ব্যায় করার পর সন্ধা ৬ টার দিকে আটক আব্দুল আওয়ালকে গাঁজার ওজন কম ও আব্বাশকে আসামি করা হবেনা বলে আমার দেবর মো: মুক্তার আলীর কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে যান তারা। টাকা নেয়ার পরও আমার ছেলেকে মামলার আসামি করা হয়েছে! এনিয়ে ক্ষোভও ঝাড়লেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: শাইফুল ইসলাম সরকার জানান, ১ কেজি ২০ গ্রাম গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে এবং আব্বাশ আলীকে পলাতক দেখিয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তবে টাকা নেয়ার ঘটনা সঠিক নয় বলে জানান ওসি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৯ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.