অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের চারদিনের মাথায় বটি দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে তাহমিনা খাতুন (১৮) নামে এক নববধূকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার পর বিচারক মো. হাবিবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাহমিনা শহরের কোবদাসপাড়া মহল্লার মানিক হোসেনের মেয়ে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসরিন জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্বামী হানিফকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভিকটিমের বাবা সোহরাব আলী শেখ বাদী হয়ে নববধূ তাহমিনাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাহমিনার অন্য একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার বাবা-মা ওই সম্পর্ক মেনে না নিয়ে হানিফের সঙ্গে জোর করে তাকে বিয়ে দেন। দেড়মাস আগে তাদের কাবিন হয়। গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) নববধূকে ঘরে তুলে আনেন হানিফ। এরপর সোমবার স্বামীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তাহমিনা।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) পৌর এলাকার চর রায়পুর পূর্বপাড়ার সোহরাব হোসেনের ছেলে মো. হানিফের সঙ্গে তাহমিনা খাতুনের বিয়ে হয়। সোমবার (১৯ অক্টোবর) গভীর রাতে হানিফকে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেন তিনি। এরপর তার হাত-পা বেঁধে তার মাথায় বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এসময় স্বামীর হাতের আঙুলও কেটে নেন তিনি। রাতেই হানিফকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২১ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.