স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীতে হেরোইনসহ মাবিয়া খাতুন (৪৮) নামের এক মহিলাকে আটক করেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি তাকে সড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানোর হয়েছে। মাবিয়া খাতুন আসাম কলোনী কাঠালতলা এলাকার সুফি আসলামের স্ত্রী।
গত শুক্রবার ২৩ আগোষ্ট দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আসাম কলোনী রবের মোড় এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী আশা খাতুনকে আটক করতে যায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ।
এসময় আশা খাতুন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাজপাড়া থানা এসি ও চন্দ্রিমা থানা ওসিসহ তিন ভ্যান পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
তল্লাশী করে পুরো বাড়ি। পুলিশ জানায়, তার বাসার রান্না ঘরে থেকে মসলার ডিব্বার মধ্যে থাকা ৯৫.৮ গ্রাম হেরোইান জব্দ করা হয়েছে।
সাথে আটক করা হয় আশার মা মাবিয়াকে। স্থানীয়রা জানায়, আশা একজন মাদক ব্যবসায়ী হলেও তার মা মাদকের সাথে কোনো সংস্পর্শ নেই। এছাড়া প্রতক্ষ্যদর্শী জাবেদ ও সাইদুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি জানায়,পুলিশ মাবিয়ার বাড়িতে অভিযানের সময় আমরা ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলাম। মাবিয়াকে আটক করে নিয়ে গেলেও তার কাছে বা বাসা থেকে কি উদ্ধার করা হয়েছে সেটা আমাদের কিছুই জানায়নি তারা। ’
এছাড়া তার বাসায় তল্লাশীচলাকালিন স্থানীয় কোনো ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এবাদেও ঘটনাস্থল থেকে কি উদ্ধার হয়েছে তা সিজারলিষ্টও করা হয়নি বলেও জানান তারা। এঘটনায় মাবিয়া খাতুনকে আটক ও তার মেয়ে আশা খাতুনকে পলাতক দেখিয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২৩ তারিখ ২৩/১০/২০২০। মাবিয়ার স্বামী আসলাম জানায়, আমাদের প্রতিবেশী দুইজন ব্যক্তির সাথে আমাদের ঝগড়া বিবাদ পূর্বে থেকে। তারা পুলিশের সাথে যোগসাজস করে আমার স্ত্রীকে হেরোইন দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মনিরকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৫ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.