নিজস্ব প্রতিবেদক:বাঘায় ইমো অ্যাপে প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আলমঙ্গীর হোসেন, আলামিন ও সজিব নামে তিন যুবককে আটক করেছে রাজশাহী ডিবি পুলিশ।
রোববার দিবাগত রাতে আলমগীরের বাড়ী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘায় ইমো অ্যাপের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। একদল সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত করছেন সাধারণ মানুষকে।
আর প্রতারণার অস্ত্র হিসেবে বেছে নেয়া হচ্ছে যৌন আবেদন ও নগদ অর্থ। এ সংক্রান্তে গত ৪ মাসে বাঘা থানায় দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে আসামী হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে আটক করা হয়েছে ৮ জনকে।
সর্বশেষ রবিবার রাতে রাজশাহী ডিবি পুলিশ বাঘার তিন যুবককে ইমো অ্যাপে প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলো- উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আলমগীর হোসেন (২১) এবং বলিহার গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আলামিন(২০) ও ইনতাজ আলীর ছেলে সজিব(২০)।
বাঘা থানা সুত্রে জানা গেছে, গত চারমাসে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ইমো অ্যাপে প্রতারণা। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার গড়গড়ি ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নে এর প্রবণতা অন্য যে কোন এলাকার চেয়ে অনেক বেশি। সম্প্রতি বাঘা থানা পুলিশ এসব প্রতারণা চক্রের সাথে সম্পৃক্তদের তালিকা সংগ্রহ শুরু করেছেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আব্দুল বারি জানান, বাঘায় ইমো অ্যাপের শিকড় থাকবে না। ইতোমধ্যে দুই মামলায় আট সদস্যকে আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ।
সর্বশেষ সোমবার সকালে রাজশাহী ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজনকে আসামী করে আরো একটি নতুন মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০২ নভেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.