শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
সড়কবাতি পোড়ানোর পরিকল্পনায় রাসিকের ২ প্রকৌশলী

সড়কবাতি পোড়ানোর পরিকল্পনায় রাসিকের ২ প্রকৌশলী

সড়কবাতি পোড়ানোর পরিকল্পনায় রাসিকের ২ প্রকৌশলী
সড়কবাতি পোড়ানোর পরিকল্পনায় রাসিকের ২ প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সড়কবাতি নিয়মিতভাবে পোড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন দুই প্রকৌশলী। তাদের পরিকল্পনার মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেন রাসিকের বৈদ্যুতিক শাখার কর্মচারীরা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এমনটা উঠে এসেছে। পিবিআই যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

১৬৪ ধারার ওই জবানবন্দিতে উঠে এসেছে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসানের পরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কবাতি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক শাখার কয়েকজন ‘ষড়যন্ত্র’ করে মেয়রকে বেকায়দায় ফেলতে সড়কবাড়ি পোড়ানোর কাজটি করে আসছিলেন বলে জবানবন্দিতে এসেছে।

জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট বৈদ্যুতিক শাখার কর্মচারী মিজানুর রহমান শাহীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, সড়কবাতি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশনা দেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসান। এরপর পিবিআই শফিকুল হাসানকে গ্রেফতার করে। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে দেওয়া ওই জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, পরিকল্পনাটি করেছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। ২১ অক্টোবর কর্মচারী মো. ইব্রাহিমের দেওয়া জবানবন্দিতেও আছে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদের নাম।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার জানান, দীর্ঘ সময় ধরে সড়কবাতি পুড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে তারা লাইট বুয়েটে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে পাঠানো যে ফলাফল তারা পেয়েছেন, তাতে অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারণে এতোদিন লাইটগুলো পুড়েছে। ফলে তারা এখন নিশ্চিত, ইচ্ছাকৃতভাবে ভোল্টেজ বাড়িয়ে সেটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা সমর পাল জানান, সড়কবাতিগুলো পুড়ে যাওয়াটি রহস্যজনক হওয়ার কারণেই মেয়রের পরামর্শে তিনি মামলা করেছেন। ওই মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০২ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply