শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
আরএমপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত

আরএমপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত

আবদুল লতিফ, ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি এসব অভিযোগের তদন্ত চলছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ বরখাস্তের আদেশ দেন।

সূত্র জানায়, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল লতিফের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করেন। তিনি পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন পাঠালে গত মাসে আবদুল লতিফকে ডেকে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মাইনুর রহমান চৌধুরী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফকে তলব করেন। কিন্তু লতিফ সেখানে গিয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আইজিপি।

জানা গেছে, লতিফের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, বদলিজনিত তদবিরসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একজন কেরানি হয়েও তিনি নামে-বেনামে ও নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি বাণিজ্য, পদোন্নতি, থানা থেকে মাসোহারা তোলা, নিয়োগ, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া, মালামাল না কিনেই বিল উত্তোলন এবং ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজস করে নিজেই কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে লতিফ একদিনেই ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের নিজনামীয় হিসাব থেকে ৪০ লাখ টাকা এবং তার গৃহিণী স্ত্রীর হিসাব থেকে ৫৮ লাখ টাকা তোলার জন্য চিঠি দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি জানতে পারলে একজন কর্মচারীর এত টাকার বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সবকিছু ম্যানেজ করেন লতিফ। ২০১৮-১৯ সালে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি জালিয়াতি করে ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছিলেন লতিফ। বিষয়টি জানাজানি হলে লতিফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তার পরেও এতাদিন আরএমপিতে বহাল ছিলেন লতিফ। শেষ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তের আদেশ নিয়ে রাজশাহী ছাড়তে হচ্ছে তাকে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৩ নভেম্বর ২০২০

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply