অনলাইন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গোপন কারখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও কৃত্রিম দাঁত তৈরির অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী মো. শাহজাহানকে (৫০) ৬ মাস ও তার ছেলে মাহিদুল হক জীবনকে (২৩) দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দুজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার বিকাল ৫টায় পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন স্যানিটারি ন্যাপকিন ও উৎপাদনের জন্য মানহীন তুলা, কাপড় এবং কৃত্রিম দাঁত উদ্ধার করে র্যা ব।
এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভৈরব র্যা ব-১৪ ক্যাম্পের কমান্ডার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যুবায়ের ও ডেপুটি কমান্ডার বেলায়েত হোসেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা।
উদ্ধারকৃত নকল ন্যাপকিন ও দাঁত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুনে পুড়িয়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যা ব কমান্ডার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, মো. শাহজাহান হাসপাতালের একজন কর্মচারী হয়ে দীর্ঘদিন যাবত তার ছেলের মাধ্যমে মানহীন তুলা ও কাপড় দিয়ে অনুমোদনহীন স্যানিটারি ন্যাপকিন ও কৃত্রিম দাঁত উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। এসব মানহীন ন্যাপকিন স্থানীয় ডাক্তারদের দিয়ে প্রেসক্রিপশন করে বাজারের ফার্মেসিতে ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অবাধে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার বিকালে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল মানহীন ন্যাপকিন উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা জানান, মানহীন এসব স্যানেটারি ন্যাপকিন সেবাগ্রহীতাদের জীবন ধ্বংস করতে পারে। তারা সরকারি অনুমোদন ছাড়া দীর্ঘদিন যাবত এসব ন্যাপকিন ও দাঁত তৈরি করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছিল। এ কারণে আইন অনুযায়ী তাদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। যুগান্তর
মতিহার বার্তা ডট কম –০৪ নভেম্বর-২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.